- 246
- 604
- 94
নিয়তি
বন্ধুরা আমি এই সাইট এ নতুন। কিছু দিন আগে হঠাৎ এর সন্ধান পাই র কিছু থ্রেড পড়ি। আমি প্রথমে সব সত্যি ভাবলেও পরে বুঝি অনেক কিছুই কল্পনা। তবুও কিছু কিছু গল্প সত্যি হয়তো। কারণ এমন ও ঘটে। আমি সেটা বুঝি। অনেকের মনের গভীরে অনেক সত্য লুকিয়ে থাকে। সেটা এক দিন কাউকে না কাউকে বলে মানুষ শান্তি পাই। সে রকম বলার মতো কাউকে পাওয়া ভারী মুশকিল। তাই আজ ও আমার মনের মধ্যে জমে থাকা অনেক কথা কাউকে বলতে পারিনি। আজ এই অজানা অচেনা এক সাইট এর সব বন্ধুদের সেটা বলে নিজেকে একটু ভার মুক্ত করতে চাই।
আমার একটা ছোট টিভি এন্ড ইলেকট্রনিক্স শোরুম আছে। প্রথমে অনেক কষ্ট করে এখন সেটা একটু ভালো জায়গায় দাঁড় করিয়েছি। আমি দেরাদুন এ থাকি। এখনকার মেন মার্কেট এ আমার শপ। এখন দোকানে তিন জন লোক রেখেছি। মোটামুটি ভালোই চলছে দোকান।
আমার অরিজিনাল বাড়ি ওয়েস্ট বেঙ্গল এর বনগাঁ লাইন এ। এখন সেটা মিউনিসিপালিটি এরিয়া হয়ে অনেক উন্নত হয়েছে শুনি। গত ১১ বছর বাইরে আছি। আমি জীবনের মাত্র ৩১ টা বছর দেখেছি। তবে এই ৩১ বছর বয়সে অনেক কিছু দেখে ফেলেছি জীবনের। তাই আমাকে দেখলে হয়তো লেট ৩০ ভাবে লোকে। এখনো ভাড়া বাড়িতে থাকি। হয়তো একদিন কোথাও আমার নিজের একটা বাড়ি হবে। দেরাদুন এ তো নিজের বাড়ি হবেনা কেননা আমি এখানকার মানুষ নয়। তাই এখানে জমি কেনা যাবেনা। তবে ছেলে মেয়ে একটু বড়ো হোক। বিসনেস তা আরো জমুক। তখন না হয় অন্য কোথাও গিয়ে একটা বাড়ি কেনা যাবে। আমার একটি মেয়ে - ক্লাস ফাইভ এ পড়ে। আরও একটি ছেলে - ক্লাস টু তে পড়ে। তাদের জন্য রোজ আমাকে ৮ তাই বাড়ি ফিরতে হয়। কেননা সক্কাল সক্কাল স্কুল বাস এসে নিয়ে যায় তাদের। সারা দিন র দেখা হয়না। তাই রাত এ ঘুমোনোর আগে এক দেড় ঘন্টা ওদের দিই। ওরা শুয়ে পড়লে শপ ক্লোসে করার সময় আবার একবার দোকানে যেতে হয়। তবে আমার শপ এর কর্মচারীরা সত্যি খুব ভালো মানুষ। ওদের ভরসা করা যায়। আমি আর আমার স্ত্রী ওদের বাড়ির লোকের মতো মনে করি। ওরা সেটা জানে। তাই ভাইয়া ভাবীর জন্য ওরা সব কিছু করতে পারে।
ও হাঁ।।।।আমার নাম টাই বলা হয়নি। আমার নাম অমর। আমার মেয়ের ডাক নাম টিয়া আর ছেলের পাপাই আর স্ত্রীর নাম রী।।।।।
যদিও আমার স্ত্রী। কিন্তু আজ ও আমাদের কোনো সে অর্থে বিয়ে হয়নি। কিন্তু একটা জিনিস এই যে সব ধরণের লিগাল পেপার এ আমাদের নাম হাসব্যান্ড ওয়াইফ হিসেবে এ নথিভুক্ত করে ফেলেছি। বাবা মারা যাওয়ার পরে বেশ কিছু বছর খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছে আমাদের। পি.ফ এর টাকা , ব্যাঙ্ক এর টাকা সব পেতে অনেক ঝামেলা পেতে হয়েছে। যদিও আর্থিক কষ্ট সে ভাবে হয়নি তবুও কারুর সাহায্য একটা পাইনি। অসবর্ণ বিয়ে বলে না বাবার সাইড থেকে , না মা এর সাইড থেকে --কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। বাবা অনেক চেষ্টা করেছে। মা ও। তবুও চিড়ে ভেজেনি।আমি তখন ক্লাস ৮ এ পড়ি। মা এই দৌড় ঝাঁপ করে সব করেছে। আমি শুধু সঙ্গে থাকতাম। সেই দিন গুলোর কথা ভাবলে আজ ও আমরা কষ্ট পাই। অনেক হেনস্থা হতে হয়েছে।। যাক সে কথা। পড়াশোনায় আমি ভালো ছিলাম। মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিক এ 1st div এ পাস করি। ফিজিক্স নিয়ে গ্রাডুয়েশন অবশ্য 2nd class এ পাস হয়। নম্বর খুব ভালো ছিলোনা। আর সে সময় মানসিক ভাবে ও স্টেবল ছিলাম না। গ্রাডুয়েশন এর রেজাল্ট আসার আগেই আমার মা জানতে পারে যে আমাদের মেয়ে টিয়া এই পৃথিবীতে আস্তে চলেছে। আর সেদিন থেকে আমাদের সব কিছু বদলাতে শুরু করলো।
আমার বাবার শরীরের গঠন খুব ভালো ছিল। তবে বাবা সে অর্থে ফর্সা ছিল না। যদিও আমার মা খুব ফর্সা। তাই আমার শরীরের গঠন বাবার মতো হলেও আমার গায়ের রং না বাবার মতো , না মায়ের মতো। আমি বাবার থেকেও চাপা রং এর। কলেজ এ ভর্তির পর আর পাঁচটা ছেলের মতো আমি হয় হুল্লোড় করে কাটাতে পারতামনা। সে বয়সে অনেক কিছু দেখে ফেলেছিলাম জীবনের। তাই চিন্তা ছিল আমাকে একটা ভালো ইনকাম এর রাস্তা খুঁজতে হবে র একটা সুখী পরিবার বানাতে হবে। মা ছাড়া কেউ ছিলোনা। মা ই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড , গাইড , পেরেন্টস।।সব।বাবা চলে যাওয়ার পর মা এর ও অনেক কষ্ট গেছে। আমি কোনো দিন তাকে কষ্ট দিয়নি। বরং এখনো তার সুখের জন্য সব রকম ভাবে চিন্তা করে সব কিছু করি।
বন্ধুরা আমি এই সাইট এ নতুন। কিছু দিন আগে হঠাৎ এর সন্ধান পাই র কিছু থ্রেড পড়ি। আমি প্রথমে সব সত্যি ভাবলেও পরে বুঝি অনেক কিছুই কল্পনা। তবুও কিছু কিছু গল্প সত্যি হয়তো। কারণ এমন ও ঘটে। আমি সেটা বুঝি। অনেকের মনের গভীরে অনেক সত্য লুকিয়ে থাকে। সেটা এক দিন কাউকে না কাউকে বলে মানুষ শান্তি পাই। সে রকম বলার মতো কাউকে পাওয়া ভারী মুশকিল। তাই আজ ও আমার মনের মধ্যে জমে থাকা অনেক কথা কাউকে বলতে পারিনি। আজ এই অজানা অচেনা এক সাইট এর সব বন্ধুদের সেটা বলে নিজেকে একটু ভার মুক্ত করতে চাই।
আমার একটা ছোট টিভি এন্ড ইলেকট্রনিক্স শোরুম আছে। প্রথমে অনেক কষ্ট করে এখন সেটা একটু ভালো জায়গায় দাঁড় করিয়েছি। আমি দেরাদুন এ থাকি। এখনকার মেন মার্কেট এ আমার শপ। এখন দোকানে তিন জন লোক রেখেছি। মোটামুটি ভালোই চলছে দোকান।
আমার অরিজিনাল বাড়ি ওয়েস্ট বেঙ্গল এর বনগাঁ লাইন এ। এখন সেটা মিউনিসিপালিটি এরিয়া হয়ে অনেক উন্নত হয়েছে শুনি। গত ১১ বছর বাইরে আছি। আমি জীবনের মাত্র ৩১ টা বছর দেখেছি। তবে এই ৩১ বছর বয়সে অনেক কিছু দেখে ফেলেছি জীবনের। তাই আমাকে দেখলে হয়তো লেট ৩০ ভাবে লোকে। এখনো ভাড়া বাড়িতে থাকি। হয়তো একদিন কোথাও আমার নিজের একটা বাড়ি হবে। দেরাদুন এ তো নিজের বাড়ি হবেনা কেননা আমি এখানকার মানুষ নয়। তাই এখানে জমি কেনা যাবেনা। তবে ছেলে মেয়ে একটু বড়ো হোক। বিসনেস তা আরো জমুক। তখন না হয় অন্য কোথাও গিয়ে একটা বাড়ি কেনা যাবে। আমার একটি মেয়ে - ক্লাস ফাইভ এ পড়ে। আরও একটি ছেলে - ক্লাস টু তে পড়ে। তাদের জন্য রোজ আমাকে ৮ তাই বাড়ি ফিরতে হয়। কেননা সক্কাল সক্কাল স্কুল বাস এসে নিয়ে যায় তাদের। সারা দিন র দেখা হয়না। তাই রাত এ ঘুমোনোর আগে এক দেড় ঘন্টা ওদের দিই। ওরা শুয়ে পড়লে শপ ক্লোসে করার সময় আবার একবার দোকানে যেতে হয়। তবে আমার শপ এর কর্মচারীরা সত্যি খুব ভালো মানুষ। ওদের ভরসা করা যায়। আমি আর আমার স্ত্রী ওদের বাড়ির লোকের মতো মনে করি। ওরা সেটা জানে। তাই ভাইয়া ভাবীর জন্য ওরা সব কিছু করতে পারে।
ও হাঁ।।।।আমার নাম টাই বলা হয়নি। আমার নাম অমর। আমার মেয়ের ডাক নাম টিয়া আর ছেলের পাপাই আর স্ত্রীর নাম রী।।।।।
যদিও আমার স্ত্রী। কিন্তু আজ ও আমাদের কোনো সে অর্থে বিয়ে হয়নি। কিন্তু একটা জিনিস এই যে সব ধরণের লিগাল পেপার এ আমাদের নাম হাসব্যান্ড ওয়াইফ হিসেবে এ নথিভুক্ত করে ফেলেছি। বাবা মারা যাওয়ার পরে বেশ কিছু বছর খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছে আমাদের। পি.ফ এর টাকা , ব্যাঙ্ক এর টাকা সব পেতে অনেক ঝামেলা পেতে হয়েছে। যদিও আর্থিক কষ্ট সে ভাবে হয়নি তবুও কারুর সাহায্য একটা পাইনি। অসবর্ণ বিয়ে বলে না বাবার সাইড থেকে , না মা এর সাইড থেকে --কেউই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেনি। বাবা অনেক চেষ্টা করেছে। মা ও। তবুও চিড়ে ভেজেনি।আমি তখন ক্লাস ৮ এ পড়ি। মা এই দৌড় ঝাঁপ করে সব করেছে। আমি শুধু সঙ্গে থাকতাম। সেই দিন গুলোর কথা ভাবলে আজ ও আমরা কষ্ট পাই। অনেক হেনস্থা হতে হয়েছে।। যাক সে কথা। পড়াশোনায় আমি ভালো ছিলাম। মাধ্যমিক , উচ্চমাধ্যমিক এ 1st div এ পাস করি। ফিজিক্স নিয়ে গ্রাডুয়েশন অবশ্য 2nd class এ পাস হয়। নম্বর খুব ভালো ছিলোনা। আর সে সময় মানসিক ভাবে ও স্টেবল ছিলাম না। গ্রাডুয়েশন এর রেজাল্ট আসার আগেই আমার মা জানতে পারে যে আমাদের মেয়ে টিয়া এই পৃথিবীতে আস্তে চলেছে। আর সেদিন থেকে আমাদের সব কিছু বদলাতে শুরু করলো।
আমার বাবার শরীরের গঠন খুব ভালো ছিল। তবে বাবা সে অর্থে ফর্সা ছিল না। যদিও আমার মা খুব ফর্সা। তাই আমার শরীরের গঠন বাবার মতো হলেও আমার গায়ের রং না বাবার মতো , না মায়ের মতো। আমি বাবার থেকেও চাপা রং এর। কলেজ এ ভর্তির পর আর পাঁচটা ছেলের মতো আমি হয় হুল্লোড় করে কাটাতে পারতামনা। সে বয়সে অনেক কিছু দেখে ফেলেছিলাম জীবনের। তাই চিন্তা ছিল আমাকে একটা ভালো ইনকাম এর রাস্তা খুঁজতে হবে র একটা সুখী পরিবার বানাতে হবে। মা ছাড়া কেউ ছিলোনা। মা ই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড , গাইড , পেরেন্টস।।সব।বাবা চলে যাওয়ার পর মা এর ও অনেক কষ্ট গেছে। আমি কোনো দিন তাকে কষ্ট দিয়নি। বরং এখনো তার সুখের জন্য সব রকম ভাবে চিন্তা করে সব কিছু করি।