কিছুজনের জীবনে সাভাবিক শৈশব কাল হয়ে না. আমি ছিলাম এরকম একজন. জন্মেছিলাম এক মধ্যবিত্য বাঙালি পরিবারে. বাবা ইঞ্জিনিয়ার আর মা ছিল গৃহবধূ. বাবা বদলির চাকরি ছিল, তাই মাঝে মধ্যে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে বদলি হত. আমরা যে সবসময়ে বাবার সাথে যেতে পারতাম তা নয়ে. মাঝে মধ্যে আমি আর মা ঠাকুমা দাদুর সাথে আমাদের কলকাতার বাড়িতে থাকতাম.যখন আমার বয়েস ১০ ছিল, বাবার পোস্টিং হয়েছিল বেঙ্গল আর বিহারের বর্ডারে একটা গ্রামে. প্রথমে শুনেছিলাম সেই গ্রামে বাবার কিছুদিনের জন্য পোস্টিং হয়েছে এবং বাবা একদিন ফোন করে জানায়ে তার এই গ্রামে অনেকদিন থাকতে হবে. মাকে আমাকে নিয়ে সেই গ্রামে আসতে বলে. দাদুর আমাদের দুজনের ওরকম এক গ্রামে বাবার সাথে থাকার ব্যাপার নিয়ে মতবিরোধ ছিল কিন্তু বাবা জোর করতে লাগলো আমাদের আসা নিয়ে.আমাদের নিয়ে আসার জন্য বাবা এলো না.দাদু এলো আমাদের নিয়ে. বাবা যদিও স্টেশন এ অপেখ্যা করছিল আমাদের জন্য.
বাবাকে দেখে দাদু বলে বসলো-“কিরে তোর মুখ চোখ এরকম দেখাছে কেন?…শরীর খারাপ নাকি..”
বাবা-“না এখানে …. এত কাজের চাপ”
দাদু-“তোর কিছু একটা হয়েছে..তোকে এরকম উদাসীন দেখাছে..বউ মা মনে হছে…কিছু একটা হয়েছে…”
মা শুধু বাবার দিকে তাকিয়ে ছিল. বাবা কথা এড়িয়ে বলল-“আচ্ছা..এ হছে..রঘু…আমার ড্রাইভার…রঘু মাল পত্র গুলো তোলো…”
আমরা গাড়িতে উঠে পড়লাম. গ্রামের এবরো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে ঝাকুনি খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত পৌছালাম এক বাংলোর কাছে. এই বাংলো ছিল এখানকার ইঞ্জিনিয়ারদের থাকার জায়েগা. এক একটা বাংলো একে অপরের থেকে বেশ দুরে দুরে ছিল.আমরা ঘরে ঢুকতেই, একজন মধ্য বয়েস্ক ভদ্রমহিলা বেড়িয়ে এলো.
বাবা-“বাবা এ হছে কমলা …. এখানে রান্না , ঘর পরিস্কার করার সব কাজ নিজে সামলায়ে”
দাদু আর চোখে সেই কাজের মাসিটাকে দেখতে লাগলো.ঘরে ঢুকে মা আমাকে স্নান করাতে নিয়ে গেলো এবং আমাকে স্নান করিয়ে মা নিজে স্নান করতে গেলো. আমি সেই সময়ে আমাদের নতুন বাংলো টা ঘুরছিলাম. হঠাত পাশের ঘর থেকে বাবা আর দাদুর কথোপকথন শুনতে পেলাম.দাদু বাবাকে বলছিল-‘আমার এই জায়গাটা একদম ভালো লাগছে না. এরকম এক অজ পাড়াগায়ে বৌমা’ আর খোকা নিয়ে থাকার কোনো মানে হয়ে না.’
বাবা বলল-“তোমার এত চিন্তা হছে কেন?”
দাদু-“তোর এই রঘু ড্রাইভার টি বার বার কাচ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বৌমাকে দেখছিল”
বাবা কিছুক্ষণ চুপ হয়ে রইলো এবং বলল-“এখানে গ্রামের লোকগুলো একটু এরকম হয়ে..তুমি চিন্তা করো না. তুমি বিশ্রাম করো. তোমায়ে কাল বেরোতে হবে. আমি বরং মাকে ফোন করে বলে দি সবাই ঠিক থাক এখানে পৌছেছে.”
এরপর পরেরদিন দাদু আমাদের কে বাবার কাছে রেখে চলে গেল, দাদু চলে যাওয়ার পরে মা বাবাকে বলল-“জানো ..বাবা যাওয়ার আগে এক অদভুত কথা বলল”
বাবা-“কি?”
মা-“এই কমলাকে বেশিদিন কাজে রাখতে না…আর কোনো জায়গায়ে যেতে হলে তোমাকে সঙ্গে নিতে”
বাবা বলল-“বাবার কথা নিয়ে চিন্তা করো না.”
মা-“কিন্তু তোমার কিছু একটা হয়েছে.তুমি বাবার কাছে লোকাতে পারো কিন্তু আমার কাছে নয়ে.”
বাবা-“উফ..আমার কিছু হয়েনি…প্রসঙ্গ তা বাদ দাও…আচ্ছা শোনো আমার এক কলিগ কালকে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছে ওদের বাড়িতে.”
মা-“কে বোলো তো?”
বাবা-“তুমি চেনো না. সমীর নাম.তোমাকে কোনদিন বলিনি ওদের ব্যাপারে আগে.”
মা-“নিমন্ত্রণ করেছে…কিছু জিনিস নিয়ে যেতে হবে…এখানে তো কিছু চিনি না.”
বাবা-“ওই সব নিয়ে তুমি ভেবো না.”

বাবাকে দেখে দাদু বলে বসলো-“কিরে তোর মুখ চোখ এরকম দেখাছে কেন?…শরীর খারাপ নাকি..”
বাবা-“না এখানে …. এত কাজের চাপ”
দাদু-“তোর কিছু একটা হয়েছে..তোকে এরকম উদাসীন দেখাছে..বউ মা মনে হছে…কিছু একটা হয়েছে…”
মা শুধু বাবার দিকে তাকিয়ে ছিল. বাবা কথা এড়িয়ে বলল-“আচ্ছা..এ হছে..রঘু…আমার ড্রাইভার…রঘু মাল পত্র গুলো তোলো…”
আমরা গাড়িতে উঠে পড়লাম. গ্রামের এবরো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে ঝাকুনি খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত পৌছালাম এক বাংলোর কাছে. এই বাংলো ছিল এখানকার ইঞ্জিনিয়ারদের থাকার জায়েগা. এক একটা বাংলো একে অপরের থেকে বেশ দুরে দুরে ছিল.আমরা ঘরে ঢুকতেই, একজন মধ্য বয়েস্ক ভদ্রমহিলা বেড়িয়ে এলো.
বাবা-“বাবা এ হছে কমলা …. এখানে রান্না , ঘর পরিস্কার করার সব কাজ নিজে সামলায়ে”
দাদু আর চোখে সেই কাজের মাসিটাকে দেখতে লাগলো.ঘরে ঢুকে মা আমাকে স্নান করাতে নিয়ে গেলো এবং আমাকে স্নান করিয়ে মা নিজে স্নান করতে গেলো. আমি সেই সময়ে আমাদের নতুন বাংলো টা ঘুরছিলাম. হঠাত পাশের ঘর থেকে বাবা আর দাদুর কথোপকথন শুনতে পেলাম.দাদু বাবাকে বলছিল-‘আমার এই জায়গাটা একদম ভালো লাগছে না. এরকম এক অজ পাড়াগায়ে বৌমা’ আর খোকা নিয়ে থাকার কোনো মানে হয়ে না.’
বাবা বলল-“তোমার এত চিন্তা হছে কেন?”
দাদু-“তোর এই রঘু ড্রাইভার টি বার বার কাচ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বৌমাকে দেখছিল”
বাবা কিছুক্ষণ চুপ হয়ে রইলো এবং বলল-“এখানে গ্রামের লোকগুলো একটু এরকম হয়ে..তুমি চিন্তা করো না. তুমি বিশ্রাম করো. তোমায়ে কাল বেরোতে হবে. আমি বরং মাকে ফোন করে বলে দি সবাই ঠিক থাক এখানে পৌছেছে.”
এরপর পরেরদিন দাদু আমাদের কে বাবার কাছে রেখে চলে গেল, দাদু চলে যাওয়ার পরে মা বাবাকে বলল-“জানো ..বাবা যাওয়ার আগে এক অদভুত কথা বলল”
বাবা-“কি?”
মা-“এই কমলাকে বেশিদিন কাজে রাখতে না…আর কোনো জায়গায়ে যেতে হলে তোমাকে সঙ্গে নিতে”
বাবা বলল-“বাবার কথা নিয়ে চিন্তা করো না.”
মা-“কিন্তু তোমার কিছু একটা হয়েছে.তুমি বাবার কাছে লোকাতে পারো কিন্তু আমার কাছে নয়ে.”
বাবা-“উফ..আমার কিছু হয়েনি…প্রসঙ্গ তা বাদ দাও…আচ্ছা শোনো আমার এক কলিগ কালকে আমাদের নিমন্ত্রণ করেছে ওদের বাড়িতে.”
মা-“কে বোলো তো?”
বাবা-“তুমি চেনো না. সমীর নাম.তোমাকে কোনদিন বলিনি ওদের ব্যাপারে আগে.”
মা-“নিমন্ত্রণ করেছে…কিছু জিনিস নিয়ে যেতে হবে…এখানে তো কিছু চিনি না.”
বাবা-“ওই সব নিয়ে তুমি ভেবো না.”
