গ্র্যাজুয়েশনের পর আরও হায়ার স্টাডির জন্য বিভিন্ন দেশে পড়ার সুযোগ খুঁজতে খুঁজতে দক্ষিণ গোলার্ধের একটি দ্বীপ রাষ্ট্রে সুযোগ এসে গেল। ভারি আনন্দ । কিন্তু ভাবলাম ওই দেশে গিয়ে থাকা। কিন্তু যাই হোক সুযোগ যখন এসেছে। পরদিন আমার বন্ধু অরিত্র র বাড়ি গেলাম।
রবিবার অরিত্রর বাড়িতে ওর বাবা রঞ্জন মেশো আর মা নন্দিতা মাসী ও ছিল। দেখা গেল অরিত্র ও কদিন বাদে মার্কিন দেশে চলে যাবে পড়তে। আমিও আমার কথা বললাম। ওরাও বেশ মর্ডান পরিবার।
নন্দিতা: আরে আমরাও তো চলে যাব অস্ট্রেলিয়া । তোর মেশোর তো পোস্টিং ওখানেই। তা তুই কবে যাবি?
আমি: পরের মাসে।
দেখা গেল অরিত্র চলে যাবার পরদিনই ওর বাবা মা চলে যাবে। অদ্ভুত ভাবে যেখানে ওরা যাবে আমার ইউনিভার্সিটি ও সেই কাছাকাছিই ।
রঞ্জন: শোন।
আমি: বলো।
রঞ্জন: তুই আমাদের ওখানেই আসিস।
কদিন পরেই ওরা চলে গেল যে যার গন্তব্যে।
আমি তোড়জোড় করতে লাগলাম বিদেশ যাওয়ার ।
অবশেষে একদিন বেলা তিনটেতে পৌঁছালাম ওদেশে।
যথারীতি আমাকে রিসিভ করার জন্য নন্দিতা মাসী এয়ারপোর্টে ছিল।
নন্দিতা: চল।
নন্দিতা মাসী এমনিই আধুনিকা। টপ আর জিনস পরে এসেছে। সুন্দর লাগছে। শুনলাম ওরা যে বাড়িটা কিনেছে সেটা খুব ফাঁকা জায়গায় ।
আমি: আমার থাকার কোন জায়গা দেখে দেখেছো?
নন্দিতা: হ্যাঁ হয়ে যাবে চল।
গাড়ি তে প্রায় দু ঘন্টা । রাস্তায় যেতে যেতে আমাকে যে ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে সেটা দেখলাম। তার পরে আর পনেরো মিনিটের মধ্যে ই ওদের বাড়ি । স্বাভাবিক ভাবেই ওদের বাড়ি গেলাম। একটু বসতে না বসতেই রঞ্জন মেশোর এসে হাজির ।
রঞ্জন: কখন এলি?
আমি: এই আধ ঘন্টা । কিন্তু মেশো
রঞ্জন: বল।
আমি: আমার থাকার ব্যবস্থা কোথায় হবে? হোস্টেলে কথা বলে রেখেছো?
রঞ্জন: আর হোস্টেল।
নন্দিতা: কেন কি হল?
রঞ্জন: ও এখানেই থাক।
নন্দিতা: কি হল?
রঞ্জন: শোন, কোম্পানির ইমার্জেন্সি । আমাকে কালকেই ইংল্যান্ড চলে যেতে হবে বেশ কয়েক বছরের জন্য । তুমি আর একা কি করবে। রানা এখানেই থাক। ওর কলেজ ও বেশী দুর নয়।
নন্দিতা: বোঝ। তাই হোক তাহলে।
পরদিন রবিবার আমরা সন্ধ্যাবেলা একটা রেস্টুরেন্ট এ ডিনার করে রঞ্জন মেসোকে এয়ারপোর্টে ছেড়ে বাড়ি এলাম।
ভালো ই হল আমার থাকার জায়গা টা একদিকে ভালোই।
এমনিতেই দেশটায় লোক কম। আমরা যেখানে থাকতাম সেখানটায় দু তিনটে বাড়ি । শান্ত পরিবেশ।
আমি পরদিন কলেজ শুরু করলাম। দুদিন পর নন্দিতা মাসী ও একটা চাকরি পেল। ডিউটি দশটা থেকে পাঁচটা।
আমি কলেজ যেতাম নন্দিতা মাসী কাজে আবার দুজনে প্রায় একসাথে ফিরতাম ।
রবিবার অরিত্রর বাড়িতে ওর বাবা রঞ্জন মেশো আর মা নন্দিতা মাসী ও ছিল। দেখা গেল অরিত্র ও কদিন বাদে মার্কিন দেশে চলে যাবে পড়তে। আমিও আমার কথা বললাম। ওরাও বেশ মর্ডান পরিবার।
নন্দিতা: আরে আমরাও তো চলে যাব অস্ট্রেলিয়া । তোর মেশোর তো পোস্টিং ওখানেই। তা তুই কবে যাবি?
আমি: পরের মাসে।
দেখা গেল অরিত্র চলে যাবার পরদিনই ওর বাবা মা চলে যাবে। অদ্ভুত ভাবে যেখানে ওরা যাবে আমার ইউনিভার্সিটি ও সেই কাছাকাছিই ।
রঞ্জন: শোন।
আমি: বলো।
রঞ্জন: তুই আমাদের ওখানেই আসিস।
কদিন পরেই ওরা চলে গেল যে যার গন্তব্যে।
আমি তোড়জোড় করতে লাগলাম বিদেশ যাওয়ার ।
অবশেষে একদিন বেলা তিনটেতে পৌঁছালাম ওদেশে।
যথারীতি আমাকে রিসিভ করার জন্য নন্দিতা মাসী এয়ারপোর্টে ছিল।
নন্দিতা: চল।
নন্দিতা মাসী এমনিই আধুনিকা। টপ আর জিনস পরে এসেছে। সুন্দর লাগছে। শুনলাম ওরা যে বাড়িটা কিনেছে সেটা খুব ফাঁকা জায়গায় ।
আমি: আমার থাকার কোন জায়গা দেখে দেখেছো?
নন্দিতা: হ্যাঁ হয়ে যাবে চল।
গাড়ি তে প্রায় দু ঘন্টা । রাস্তায় যেতে যেতে আমাকে যে ইউনিভার্সিটিতে যেতে হবে সেটা দেখলাম। তার পরে আর পনেরো মিনিটের মধ্যে ই ওদের বাড়ি । স্বাভাবিক ভাবেই ওদের বাড়ি গেলাম। একটু বসতে না বসতেই রঞ্জন মেশোর এসে হাজির ।
রঞ্জন: কখন এলি?
আমি: এই আধ ঘন্টা । কিন্তু মেশো
রঞ্জন: বল।
আমি: আমার থাকার ব্যবস্থা কোথায় হবে? হোস্টেলে কথা বলে রেখেছো?
রঞ্জন: আর হোস্টেল।
নন্দিতা: কেন কি হল?
রঞ্জন: ও এখানেই থাক।
নন্দিতা: কি হল?
রঞ্জন: শোন, কোম্পানির ইমার্জেন্সি । আমাকে কালকেই ইংল্যান্ড চলে যেতে হবে বেশ কয়েক বছরের জন্য । তুমি আর একা কি করবে। রানা এখানেই থাক। ওর কলেজ ও বেশী দুর নয়।
নন্দিতা: বোঝ। তাই হোক তাহলে।
পরদিন রবিবার আমরা সন্ধ্যাবেলা একটা রেস্টুরেন্ট এ ডিনার করে রঞ্জন মেসোকে এয়ারপোর্টে ছেড়ে বাড়ি এলাম।
ভালো ই হল আমার থাকার জায়গা টা একদিকে ভালোই।
এমনিতেই দেশটায় লোক কম। আমরা যেখানে থাকতাম সেখানটায় দু তিনটে বাড়ি । শান্ত পরিবেশ।
আমি পরদিন কলেজ শুরু করলাম। দুদিন পর নন্দিতা মাসী ও একটা চাকরি পেল। ডিউটি দশটা থেকে পাঁচটা।
আমি কলেজ যেতাম নন্দিতা মাসী কাজে আবার দুজনে প্রায় একসাথে ফিরতাম ।
Last edited: