নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে দেখলাম প্রার্থী ছ জন। সবাই প্রায় গ্র্যাজুয়েশনের পর এসেছে। ওই বাইশ থেকে সাতাশ বছরের মধ্যে বয়স সবার। আমি বাইশ। একটা ফ্লোরেই বেশ বড় অফিস। বেশ কিছু কর্মী কাজ করছে। একাধারে মালকিনদের চেম্বার। অন্যধারে ছোট মিটিং রুম।
গিয়ে সামনের টেবিলে জিজ্ঞেস করতে ভদ্রলোক দেখিয়ে দিলেন একজনকে। আমি তার কাছে যেতেই ইন্টারভিউ লেটার নিয়ে আমাকে একটা ঘরে বসতে বললেন। গিয়ে দেখলাম বাকিরাও বসে আছে। চাকরির টেনশন। সবাই চুপ করে আছে। মাঝে মাঝে ঘড়ি দেখছে।
ঠিক সাড়ে দশটা বাজতে এক ভদ্রমহিলা এলেন। শার্ট আর জিনস পরা। বেশ সুন্দর ফিগার। সাথে একজন বেয়ারা ট্রেতে কফি নিয়ে এল।
: গুড মর্নিং।
আমরা: গুড মর্নিং।
: হাই আমি নবনীতা বোস। এখানে ন্যাশানাল ম্যানেজার। বলে কোম্পানির ব্যাপারে বললেন।
সব বলার পর আমাদের ওয়েট করতে বললেন। সবাইকে একটা করে ফর্ম বিলাপ করতে দিলেন।
ফর্ম ফিলিপ করে বসে আছি। আমার পাশে যে প্রার্থী বসে ছিল সেই সব থেকে বড় আমাদের মধ্যে। পরিচয় করল।
: আমি রজত পাল।
আমি: আমি রোহন রায়।
দুজনে কথা বলছিলাম। রজত পাল ও একা মানুষ। একটা কোম্পানিতে কাজ করেন। বছর দুয়েক করছেন।
একটু কথাবার্তা বলছে সবাই। এমন সময় নবনীতা এসে নাম ডাকল।
নবনীতা: জয় দাস।
প্রথম প্রার্থী গেল। ইন্টারভিউ শুরু হল। আমি লাস্ট। রজত পাল এর নম্বর তিন।
বসে বসে দেখতে থাকলাম অনেকক্ষণ ধরেই হচ্ছে। প্রায় পঁয়তাল্লিশ মিনিট পরে নবনীতা এসে পরের জনকে ডাকল।
রজত পাল এবার রেডি হচ্ছে।
আমি: দাদা বেস্ট অফ লাক।
রজত: হ্যাঁ। তোমাকেও জানিয়ে গেলাম।
একটু পরেই রজত পালের ডাক পড়ল। একটা জিনিস খেয়াল করলাম। ইন্টারভিউ দিয়ে আর কেউ এই ঘরে আসছে না। কি জানি।
এক এক করে পাঁচজন চলে গেল। ঘড়িতে প্রায় তিনটে আমার ডাক পড়ল।
যে ঘরে যেতে বলা হল, গেলাম। ভিতরে ঢুকে দাঁড়ালাম। সামনে যিনি বসে আছেন তিনি কোম্পানির মালকিন মোহনা সেন। সুন্দরী। কালো শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরে আছেন। বয়স শুনেছিলাম আটচল্লিশ । কিন্তু ফিগার দেখলে মনে হবে পঁয়ত্রিশ কি ছত্রিশ। বোঝা যায় না। কারণ ওনার মেয়ের বয়স ই তেইশ।
আমাকে দেখলেন।
মোহনা: বসো।
বসলাম।
মোহনা: তুমি এই ইন্টারভিউয়ে সব থেকে কম বয়সের ক্যান্ডিডেট। ভাল।
ইন্টারভিউ শুরু হল। যাই হোক আমার মনে হল যে আমার ইন্টারভিউ ভাল হয়েছে।
কথা শেষ করে মোহনা সেন ইন্টারকম তুললেন।
মোহনা: নবনীতা , রোহনকে কনফারেন্স রুমে বসতে বলো। যাও।
আমাকে ইশারা করতে বেরিয়ে এলাম। নবনীতা আমাকে কনফারেন্স রুম দেখিয়ে দিল।
দরজা ঠেলে ঢুকে দেখি রজত পাল বসে আছে। বাকিরা কেউ নেই।