- 392
- 494
- 79
★★★★★★★Update 03★★★★★★★
.
.
বাবা আর ছেলেকে হা করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শ্রাবন্তী ছেলেকে জিজ্ঞেস করলো,
- কি রে কি হলো? তোরা সবাই আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে আছিস কেন? আমাকে দেখে কি বুড়ি মনে হচ্ছে? আমার ছেলে কলেজে পড়তে যাচ্ছে, আমি তো বুড়িই। তাই না?
আমাকে বাজে লাগছে?
- না মামনি, তোমাকে দেখতে খুব ভালো লাগছে। মোটেই আমার মা মনে হচ্ছে না। ঝিনুক হেসে বললো।
- তাহলে কার মা মনে হচ্ছে? শ্রাবন্তীও হেসে জানতে চাইলো। কিন্তু কেউ সেই কথার জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করলো না।
- ঝিনুক ঠিক বলেছে, তোমাকে দেখে মনেই হয় না যে ঝিনুক তোমার ছেলে। বরং মনে হয় তুমি ওর বড় বোন টাইপের কিছু। খুব হট লাগছে গো তোমাকে। রোশানও প্রশংসা করলো নিজের বউয়ের।
- থাক থাক, আমার প্রশংসা আর করতে হবে না। সব সেট? তোর জিনিসপত্র সব ঢুকিয়ে ফেলেছিস? শ্রাবন্তী গাড়ীর দিকে এগুতে এগুতে বললো।
- সব তো সেট করেছে তোমার ছেলে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তোমার আর ঝিনুকের জন্য সিট আছে মাত্র একটা। বাকি সব তোমার গুনধর ছেলে নিজের জিনিসপত্র দিয়ে ঠেসে ভর্তি করে ফেলেছে। এখন কি করবে বলো? রোশান কাছে এসে বলল।
- কি বলো তুমি? মানুষ দুজন আর সিট একটা? এখন কি আর ঝিনুক ছোট আছে নাকি যে ওকে কোলে নিয়ে বসবো আমি? শ্রাবন্তী অবাক কণ্ঠে বললো।
- ছোট তো নেই, তাই এখন তুমি ওর কোলে বসো। ঝিনুক বলছে ও নাকি তোমাকে কোলে নিয়ে পুরো পথ যেতে পারবে। রোশান বলল।
- কি বলছো! আমি ওর কোলে?এতটা পথ! না না সে হবে না। এই তোর এই টিভি রাখ, আজ নিতে হবে না। তুই এর পরে যেদিন আসবি ছুটিতে তখন নিয়ে যাস।এটা নামালেই জায়গা হবে দুজনের জন্য। শ্রাবন্তী ঝাড়ি মারল ছেলেকে।
- মামনি, আমি আর আব্বু চিন্তা করে দেখেছি, টিভি নামালেও দুইজনের জায়গা হবে না কোনভাবেই। আর তুমি কি চাও, আমি আমার প্রিয় টিভি এভাবে ফেলে রেখে অন্য শহরে কষ্টে সময় পার করি?
ছেলের কথা শুনে শ্রাবন্তীর মন গলে গেলো। ওর ছেলে কষ্ট পাবে এমন কাজ কখনও করতে বলবে না শ্রাবন্তী। ছেলে যে ওর কলিজার টুকরা।
- কিন্তু এতটা পথ তুই কি পারবি আমাকে কোলে নিয়ে থাকতে? ১০/১২ ঘণ্টার পথ। জ্যামে পড়লে আরও বেশি সময় লাগবে। শ্রাবন্তী আমতা আমতা করে বললো।
- আরেকটা উপায় আছে। তুমি থাকো বাড়ীতে, আমি ওকে পৌঁছে দিয়ে আসি। এরপর সামনের মাসে কোন একদিন তোমাকে নিয়ে যাবো, ওকে দেখে আসবে। রোশান বিকল্প প্রস্তাব দিল।
- না না, সে হবে না। আমি যাবই তোমাদের সাথে। ছেলেকে কোথায় না কোথায় রেখে আসবে, আমি নিজের চোখে না দেখলে শান্তি পাবো না। শ্রাবন্তী জেদ করে বললো।
এই কথাটা রোশান অনেক আগেই ওকে বলেছে যে ওর যাওয়ার দরকার নেই সাথে, পরে গেলেই হবে। কিন্ত শ্রাবন্তী কোনভাবেই রাজি না মানতে।
- মামনি তোমার ওজন কত? ঝিনুক সিরিয়াস ভঙ্গিতে জানতে চাইলো।
- সেদিন মাপলাম, ৫৫ হলো। শ্রাবন্তী লাজুক কণ্ঠে বললো। নিজের বয়স আর ওজন কাউকে বলা যায় না, কিন্তু নিজের ছেলে জানতে চাইলে তো আর ওকে মানা করা যায় না।
- ৫৫ হলে আমি পারবো মামনি, জিমে আমি ৫০ কেজি অনায়াসেই তুলতে পারি। আর তুমি যদি মাঝে মাঝে একটু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকো, তাহলে আমার উপর চাপ কম পড়বে। ঝিনুক বললো।
- আরে জিমে ৫০ কেজি তুলে ফেলা আর আমাকে এতটা পথ কোলে করে বয়ে নেয়া কি সহজ ব্যাপার? তোর পা অবশ হয়ে যাবে একটু পরেই দেখবি। শ্রাবন্তী হেসে বললো ছেলেকে।
- আচ্ছা আসো, আমি বসি গাড়িতে আর তুমি কোলে এসে বস। আমি বোঝার চেষ্টা করি ব্যাপারটা আসলেই কি বেশি কষ্ট হয় কি না।
এই বলে পিছনের সিটের দরজা খুলে ওখানে ঝিনুক বসে গেলো। এরপর শ্রাবন্তীও কিছুটা ইতস্তত ভাব নিয়ে এসে ঢুকে ছেলের কোলে বসলো। হোন্ডা গাড়ি গুলির ছাদ বেশ উচু, তাই ওদের মাথা গুঁজতে কোন সমস্যা হলো না। শ্রাবন্তী ছেলের কোলে বসে তার দুই পা ছেলের দুই পায়ের দুপাশে রেখে ওর কোলে বসলো।
।
।
।
....................চলবে....................
.
.
বাবা আর ছেলেকে হা করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে শ্রাবন্তী ছেলেকে জিজ্ঞেস করলো,
- কি রে কি হলো? তোরা সবাই আমার দিকে এমন করে তাকিয়ে আছিস কেন? আমাকে দেখে কি বুড়ি মনে হচ্ছে? আমার ছেলে কলেজে পড়তে যাচ্ছে, আমি তো বুড়িই। তাই না?
আমাকে বাজে লাগছে?
- না মামনি, তোমাকে দেখতে খুব ভালো লাগছে। মোটেই আমার মা মনে হচ্ছে না। ঝিনুক হেসে বললো।
- তাহলে কার মা মনে হচ্ছে? শ্রাবন্তীও হেসে জানতে চাইলো। কিন্তু কেউ সেই কথার জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করলো না।
- ঝিনুক ঠিক বলেছে, তোমাকে দেখে মনেই হয় না যে ঝিনুক তোমার ছেলে। বরং মনে হয় তুমি ওর বড় বোন টাইপের কিছু। খুব হট লাগছে গো তোমাকে। রোশানও প্রশংসা করলো নিজের বউয়ের।
- থাক থাক, আমার প্রশংসা আর করতে হবে না। সব সেট? তোর জিনিসপত্র সব ঢুকিয়ে ফেলেছিস? শ্রাবন্তী গাড়ীর দিকে এগুতে এগুতে বললো।
- সব তো সেট করেছে তোমার ছেলে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তোমার আর ঝিনুকের জন্য সিট আছে মাত্র একটা। বাকি সব তোমার গুনধর ছেলে নিজের জিনিসপত্র দিয়ে ঠেসে ভর্তি করে ফেলেছে। এখন কি করবে বলো? রোশান কাছে এসে বলল।
- কি বলো তুমি? মানুষ দুজন আর সিট একটা? এখন কি আর ঝিনুক ছোট আছে নাকি যে ওকে কোলে নিয়ে বসবো আমি? শ্রাবন্তী অবাক কণ্ঠে বললো।
- ছোট তো নেই, তাই এখন তুমি ওর কোলে বসো। ঝিনুক বলছে ও নাকি তোমাকে কোলে নিয়ে পুরো পথ যেতে পারবে। রোশান বলল।
- কি বলছো! আমি ওর কোলে?এতটা পথ! না না সে হবে না। এই তোর এই টিভি রাখ, আজ নিতে হবে না। তুই এর পরে যেদিন আসবি ছুটিতে তখন নিয়ে যাস।এটা নামালেই জায়গা হবে দুজনের জন্য। শ্রাবন্তী ঝাড়ি মারল ছেলেকে।
- মামনি, আমি আর আব্বু চিন্তা করে দেখেছি, টিভি নামালেও দুইজনের জায়গা হবে না কোনভাবেই। আর তুমি কি চাও, আমি আমার প্রিয় টিভি এভাবে ফেলে রেখে অন্য শহরে কষ্টে সময় পার করি?
ছেলের কথা শুনে শ্রাবন্তীর মন গলে গেলো। ওর ছেলে কষ্ট পাবে এমন কাজ কখনও করতে বলবে না শ্রাবন্তী। ছেলে যে ওর কলিজার টুকরা।
- কিন্তু এতটা পথ তুই কি পারবি আমাকে কোলে নিয়ে থাকতে? ১০/১২ ঘণ্টার পথ। জ্যামে পড়লে আরও বেশি সময় লাগবে। শ্রাবন্তী আমতা আমতা করে বললো।
- আরেকটা উপায় আছে। তুমি থাকো বাড়ীতে, আমি ওকে পৌঁছে দিয়ে আসি। এরপর সামনের মাসে কোন একদিন তোমাকে নিয়ে যাবো, ওকে দেখে আসবে। রোশান বিকল্প প্রস্তাব দিল।
- না না, সে হবে না। আমি যাবই তোমাদের সাথে। ছেলেকে কোথায় না কোথায় রেখে আসবে, আমি নিজের চোখে না দেখলে শান্তি পাবো না। শ্রাবন্তী জেদ করে বললো।
এই কথাটা রোশান অনেক আগেই ওকে বলেছে যে ওর যাওয়ার দরকার নেই সাথে, পরে গেলেই হবে। কিন্ত শ্রাবন্তী কোনভাবেই রাজি না মানতে।
- মামনি তোমার ওজন কত? ঝিনুক সিরিয়াস ভঙ্গিতে জানতে চাইলো।
- সেদিন মাপলাম, ৫৫ হলো। শ্রাবন্তী লাজুক কণ্ঠে বললো। নিজের বয়স আর ওজন কাউকে বলা যায় না, কিন্তু নিজের ছেলে জানতে চাইলে তো আর ওকে মানা করা যায় না।
- ৫৫ হলে আমি পারবো মামনি, জিমে আমি ৫০ কেজি অনায়াসেই তুলতে পারি। আর তুমি যদি মাঝে মাঝে একটু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকো, তাহলে আমার উপর চাপ কম পড়বে। ঝিনুক বললো।
- আরে জিমে ৫০ কেজি তুলে ফেলা আর আমাকে এতটা পথ কোলে করে বয়ে নেয়া কি সহজ ব্যাপার? তোর পা অবশ হয়ে যাবে একটু পরেই দেখবি। শ্রাবন্তী হেসে বললো ছেলেকে।
- আচ্ছা আসো, আমি বসি গাড়িতে আর তুমি কোলে এসে বস। আমি বোঝার চেষ্টা করি ব্যাপারটা আসলেই কি বেশি কষ্ট হয় কি না।
এই বলে পিছনের সিটের দরজা খুলে ওখানে ঝিনুক বসে গেলো। এরপর শ্রাবন্তীও কিছুটা ইতস্তত ভাব নিয়ে এসে ঢুকে ছেলের কোলে বসলো। হোন্ডা গাড়ি গুলির ছাদ বেশ উচু, তাই ওদের মাথা গুঁজতে কোন সমস্যা হলো না। শ্রাবন্তী ছেলের কোলে বসে তার দুই পা ছেলের দুই পায়ের দুপাশে রেখে ওর কোলে বসলো।
।
।
।
....................চলবে....................