তখন বয়স আর কত ? এই আট হবে। এখানে আর কোন কিছুই রইল না। আমার সে সব বোঝার সময় ও হয়নি। আমার মাসী চাকরি পেয়ে আমাকে নিয়ে দেশ ছাড়লেন জাহাজে করে। আমরা চলেছি শ্রীকলা দ্বীপের উদ্দেশ্যে। এখানে যা কিছু সব বিক্রি করে ওখানেই পাকাপাকি ব্যবস্থা করে ফেলেছিল মাসী।
মাসীর নাম উমা রায়। তার তখন বয়স ৩৭। আমারও তখন তিনকূলে কেউ নেই মাসী ছাড়া। দুজনে চললাম। মাসী খবর নিয়েছিল যে দেশে যাচ্ছে সেখানে এমনি সবই ঠিক আছে। ভাষা সমস্যা ও হবে না। এতয়েব কেউ যখন আর রইল না, তখন।
আমার নাম বিজয় রায়। দুদিন জাহাজে কাটিয়ে তিনদিনের দিন সকালবেলা আমরা শ্রীকলা দ্বীপে নামলাম।
যার সাথে যোগাযোগ এই চাকরি তিনি জাহাজঘাটায় ছিলেন। আমাদের একটা গাড়ি করে নিয়ে গেলেন একটি বাড়িতে। খুব সুন্দর বাড়ি। জানলাম এখানেই থাকব আমরা। চারিদিকে আরো বাড়ি থাকলেও সবার আলাদা আলাদা প্লট। সুন্দর।
প্রথম দিন আমাদের প্রতিবেশী কমলা মাসীর সাথে পরিচয় হল। বহুদিনের বাসিন্দা ওনারা। মাসীর সাথে বন্ধুত্ব ও হয়ে গেল। কমলা মাসীর এক মেয়ে আর এক ছেলে। মেয়ের বয়স হবে ১৯ আর ছেলের বয়স ২৪। আমার থেকে দুজনেই বড়। কমলা মাসীর বর অতীন ও থাকে।
পরদিন ওই ভদ্রলোক আমাদের নিয়ে গেলেন নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য সেদেশে। সমস্তকাজ কর্ম সেরে আমরা বাড়ি ফিরলাম বিকেলে।
যাতায়াতের পথে একটা জিনিস ই খালি চোখে পড়েছিল। সেটা হল যে এখানে বাড়ি র সামনে নাম লেখা থাকে। মহিলাদের নামের পাশে পদবি কিন্তু দেখলাম পুরুষদের কোন কোন নামের পাশে দুটৌ করে পদবী।
প্রথম যে বাড়িটা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়েছিল তিনটে নাম।
সীমা সেন।
অজিত সেন(বোস)
পাপিয়া সেন।
পরের বাড়িটা দেখলাম। সেখানে চারটে নাম।
নীতা মিত্র।
রমেন মিত্র (দত্ত)
অদিতি মিত্র
অমিত মিত্র।
কি ব্যাপার খটকা লাগলেও বিষয়টি বুঝতে পারলাম না বলে মাথা ঘামালাম না অত।
পরদিন সকালবেলা মাসী আছে নিয়ে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করে এল।
বিকেলে কমলামাসী আমাদের নিমন্ত্রণ করেছিল। ওখানে গেলাম।
অদ্ভুত ভাবে দেখলাম দরজায় নাম লেখা।
কমলা সরকার
অতীন্দ্রনাথ সরকার (মজুমদার)
রিমা সরকার
প্রতীক সরকার।
যা হোক ওদের বাড়িতে দেখলাম তিনজন ছিল। কমলা মাসীর বর ছিল না।
মাসী: হ্যাঁ কমলাদি।
কমলা: হ্যাঁ গো।
মাসী: দাদা নেই?
কমলা: না গো। ও অনেকদিন পর আজ একটু বাপের বাড়ি গেল। মা বাবার সাথে দেখা করতে।
কথাটা কানে খটকা লাগলেও বুঝলাম যে অতীনবাবুর মা বাবা অন্য জায়গায় থাকেন। তাই দেখা করত গেছে।
মাসীর নাম উমা রায়। তার তখন বয়স ৩৭। আমারও তখন তিনকূলে কেউ নেই মাসী ছাড়া। দুজনে চললাম। মাসী খবর নিয়েছিল যে দেশে যাচ্ছে সেখানে এমনি সবই ঠিক আছে। ভাষা সমস্যা ও হবে না। এতয়েব কেউ যখন আর রইল না, তখন।
আমার নাম বিজয় রায়। দুদিন জাহাজে কাটিয়ে তিনদিনের দিন সকালবেলা আমরা শ্রীকলা দ্বীপে নামলাম।
যার সাথে যোগাযোগ এই চাকরি তিনি জাহাজঘাটায় ছিলেন। আমাদের একটা গাড়ি করে নিয়ে গেলেন একটি বাড়িতে। খুব সুন্দর বাড়ি। জানলাম এখানেই থাকব আমরা। চারিদিকে আরো বাড়ি থাকলেও সবার আলাদা আলাদা প্লট। সুন্দর।
প্রথম দিন আমাদের প্রতিবেশী কমলা মাসীর সাথে পরিচয় হল। বহুদিনের বাসিন্দা ওনারা। মাসীর সাথে বন্ধুত্ব ও হয়ে গেল। কমলা মাসীর এক মেয়ে আর এক ছেলে। মেয়ের বয়স হবে ১৯ আর ছেলের বয়স ২৪। আমার থেকে দুজনেই বড়। কমলা মাসীর বর অতীন ও থাকে।
পরদিন ওই ভদ্রলোক আমাদের নিয়ে গেলেন নাম নথিভুক্ত করানোর জন্য সেদেশে। সমস্তকাজ কর্ম সেরে আমরা বাড়ি ফিরলাম বিকেলে।
যাতায়াতের পথে একটা জিনিস ই খালি চোখে পড়েছিল। সেটা হল যে এখানে বাড়ি র সামনে নাম লেখা থাকে। মহিলাদের নামের পাশে পদবি কিন্তু দেখলাম পুরুষদের কোন কোন নামের পাশে দুটৌ করে পদবী।
প্রথম যে বাড়িটা রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে চোখে পড়েছিল তিনটে নাম।
সীমা সেন।
অজিত সেন(বোস)
পাপিয়া সেন।
পরের বাড়িটা দেখলাম। সেখানে চারটে নাম।
নীতা মিত্র।
রমেন মিত্র (দত্ত)
অদিতি মিত্র
অমিত মিত্র।
কি ব্যাপার খটকা লাগলেও বিষয়টি বুঝতে পারলাম না বলে মাথা ঘামালাম না অত।
পরদিন সকালবেলা মাসী আছে নিয়ে গিয়ে স্কুলে ভর্তি করে এল।
বিকেলে কমলামাসী আমাদের নিমন্ত্রণ করেছিল। ওখানে গেলাম।
অদ্ভুত ভাবে দেখলাম দরজায় নাম লেখা।
কমলা সরকার
অতীন্দ্রনাথ সরকার (মজুমদার)
রিমা সরকার
প্রতীক সরকার।
যা হোক ওদের বাড়িতে দেখলাম তিনজন ছিল। কমলা মাসীর বর ছিল না।
মাসী: হ্যাঁ কমলাদি।
কমলা: হ্যাঁ গো।
মাসী: দাদা নেই?
কমলা: না গো। ও অনেকদিন পর আজ একটু বাপের বাড়ি গেল। মা বাবার সাথে দেখা করতে।
কথাটা কানে খটকা লাগলেও বুঝলাম যে অতীনবাবুর মা বাবা অন্য জায়গায় থাকেন। তাই দেখা করত গেছে।
Last edited: