• If you are trying to reset your account password then don't forget to check spam folder in your mailbox. Also Mark it as "not spam" or you won't be able to click on the link.

Incest এমন হবে ভাবতেই পারিনি........

অসাধারণ, চালিয়ে যান

  • মোটামুটি,

    Votes: 0 0.0%

  • Total voters
    21
  • Poll closed .

Kjfnani

Active Member
525
186
59
..........পর্ব...............১৪...............

আজকের রাতটা মনে হচ্ছে বেশ দীর্ঘ ৷ মাত্র রাত ১১.৩০ মিনিট ৷ এখন গাছ থেকে নামা নিরাপদ নয় ৷ যদিও তারা চলে গেছে ৷ কিন্তু শংকরের কিছু সাঙ্গো পাঙ্গো এখনো বনের এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ,আমাকে ধরার জন্য ৷ তাই আমি সেই ডালটায় শুয়ে শুয়ে সকালের অপেক্ষা করতে লাগলাম ৷

গাছের ডালে শুয়ে পর্যাবেক্ষণ করতে করতে কখন যে চোখের পাতা দুটি বন্ধ হয়ে গেলো বুঝতে পারিনি ৷ হয়ত ক্লান্তি আর ভয়ে চোখ দুটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো ৷


হঠাৎ পাখির ঝাপটার আওয়াজে চোখটা খুলে গেলো ৷ আমার মাথার ঠিক উপরের ডালটায় একটা পাখির বাসা ৷ সেখানে পাখিটা কোথা থেকে যেন উড়েঁ এসে বসেছে ৷ পুরো বনটাই যেন ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝিঁ...ঝিঁতে মুখোরিত ৷


এমন বিপদে চোখটা যে কিভাবে লাগলো বুঝতে পারলাম না ৷ গাছের ফাঁক দিয়ে চাদেঁর আলো উঁকি মারছে ৷ পুরো বনটাই শান্ত ৷ ঠিক আমাদের গ্রামের বনটার মত ৷ এমন বনের বড় বড় গাছের ডালে ঘুমানোটা আমার জন্য দুধ ভাত ৷


হাতের কম দামী ঘড়িটার সুইচ টিপে, আলো জ্বালিয়ে দেখে নিলাম কয়টা বাজে ৷ মাত্র ২.30 মিনিট ৷ উফফ এই রাত মনে হয় শেষ হবে না ৷ বিপদের রাত গুলো বুঝি এমনি হয় ৷ যেটায় না পড়লে বোঝা যায় না ৷ আমি অধৈর্য হয়ে পড়েছি ৷

নাহ,,,,,,আর এভাবে গাছে থেকে সকালের অপেক্ষা করতে পারবো না ৷ মনে হয় এখান থেকে রাতের অন্ধকারে বের হয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে ৷ যাদের চোখ রাতের বেলায়ই শকুনের মত,দিনের বেলায় সেটা আরো দূর দৃষ্টি সমপন্ন হবে ১০০% ৷

কে জানে! ঐ জানোয়ার গুলো বনের কোথায় কোথায় ওত পেতে বসে আছে ৷ যা করতে হবে সাবধানে ৷ যদি ধরা পড়ি তো আমার জীবন কাব্য এখানেই শেষ ৷

আমি এগুলো ভাবতে ভাবতে গাছ থেকে নিচে নেমে এলাম ৷ জয় ব্যাগটা কোথায় রেখেছে সেটা আমার মনে আছে ৷ এই ব্যাগেই আছে লেপটপটি, যেটা তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে ৷ আচ্ছা ! ব্যাগটা কি নিয়ে যাবো সাথে ?


ধূর ! নিয়ে কি করবো ? যাকে ব্যাগটা দিবো সেইই তো জয়কে ফাঁসিয়ে দিয়েছে ৷ না থাক ! ওটা নেয়া দরকার নেই এখন ৷ আগে এখান থেকে বেঁচে ফিরে ৷ তারপর ভেবে দেখবো ৷ এমন চিন্তা করেই সামনে অগ্রসর হচ্ছি ৷


কোথায় থেকে কোথায় যাচ্ছি বোঝার উপায় নেই ৷ গ্রামের বনটা হলে কোন চিন্তাই ছিলো না ৷ সেখানের প্রতিটি লতা পাতা আমার চেনা জানা ৷ কিন্তু এখানের হিসেব ভিন্ন ৷ চাঁদের আলোটা কখনো কখনো মাটি স্পর্শ করেছে ৷ সেটার সাহায্যেই এগিয়ে যাচ্ছি থমকে থমকে সাবধানতার সাথে ৷

কিছু দূর যেতেই পিছন থেকে সটাং করে আমার ঘাড়ের উপরে আঘাত করলো কেউ একজন ৷ হুমড়ি খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়লাম মাটিতে ৷ ব্যাথায় ঝাপসা দেখতে লাগলাম চোখে মুখে ৷

কিরে শালা ! ভেবেছিস চলে গেছি, তাই না ? আমরা জানতাম তুই আশে পাশে কোথাও লুকিয়ে আছিস ৷ এমনকি এটাও জানতাম তুই বের হবি সেখান থেকে ৷ কিন্তু এতো পরে বেরহবি সেটা বুঝতে পারি নি ৷ তারপর সে অন্যদেরকে চিৎকার করে ডাকতে লাগলো ৷

আমি ব্যাথায় পড়ে রইলাম ঘাড়ে হাত রেখে ৷ এমন আচঁমকা আক্রোমনে আমি প্রস্তুত ছিলাম না ৷

মাদারচোদ ! এক ঘা খেয়ে এই অবস্হা ! ছোট্ট বেলা তোর মা তোকে দুধ দেইনি মনে হয় ৷ তোর মাদারচোদ বাবটা হয়তো সব চুষে খেয়ে ফেলেছে ৷ যার কারনে তুই এমন হয়েছিস ৷ এই বলে খেক খেক করে হাসতে লাগলো ৷

তার কথা গুলো আমার অস্তিত্বকে নাড়িয়ে দিলো ৷ মৃত বাবা আর সতী সাবিত্রি মায়ের নামে এমন কথা শুনে নিজের ব্যাথা এক নিমিষে শেষ হয়ে গেলো ৷ চোখের পলকে শুয়া অবস্হায় ঘুরে , তার বিচিঁতে মারলাম এক লাথি ৷ উপ,,করে বিচিঁতে হাত রেখে ক্যাং ধরে রইলো ৷ আমি মাটি থেকে উঠে শুরু করলাম এলো পাথারি নাকে মুখে লাথি আর ঘুসি ৷


আচমকা আক্রোমনে গুন্ডা লোকটা দিশেহারা হয়ে পড়লো ৷ সে বুঝতেই পারেনি তাকে এমন লাথি খেতে হবে ৷ আমার লাথিগুলো খেয়ে সে বুঝতে পারলো যে,একেকটা লাথি হয়ত একশো কিলোর উপরে হবে ৷


আমি তাকে লাথি মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেললাম। কুত্তা ! বাবা মায়ের নামে নোংরা কথা ৷ নে শালা নে .. বলে
অজ্ঞানটাকেই মারতে লাগলাম ৷ হঠাৎ টর্চের আলো পড়লো আমার দিকে ৷ টর্চের আলো পড়তেই আমি ঘাড় ধরে দৌড়াতে লাগলাম ৷ তারাও আমার পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলো ৷


আমি গিয়ে একটা ঝোপে লুকিয়ে পড়লাম ৷ আর হাতে একটা ডাল নিলাম ৷ তিন জন গুন্ডা এসে ঝোপের পাশে দাড়িয়ে গেলো ৷ তারপর তিনজন আলাদা হয়ে ঝোপের দিকে এগোতে লাগলো ৷


একজন আমার দিকে আসতেই আমি ঝোপ থেকে বেরহয়ে তার মাথায় উপর আঘাত করে ,সেখান থেকে দৌড় দিয়ে পালাতে লাগলাম ৷ কিন্তু সেখান থেকে বেরহওয়াটাই আমার জন্য কাল হলো ৷


তাদের হাতে যে পিস্তল ছিলো সেটা আমার অজানা ছিলো ৷ তাদের মধ্যে হতে একজন ঠা ঠা করে আমার দিকে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে লাগলো ৷ আমি দ্বিকবিদিক হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে লাগলাম ৷ কিন্তু রেহাই পেলাম না ৷


একটা গুলি আমার পায়ের মাংস পিন্ড ছিড়ে নিয়ে বাহির হয়ে গেলো ৷ গুলি খেয়ে নিজের খেই হারিয়ে বনের উচু টিলা থেকে গড়াতে গড়তে একেবারে নিচে ৷ মনে হয় আমার পা ভেঙে গেছে ৷ মাথা ফেটে রক্ত পড়ছে ৷ আমার শক্তি শেষ হয়েগেছে ৷ মনে হচ্ছে মৃত্যুদূত এসে উপস্হিত হয়েছে আমার সামনে ৷

ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে নিজেকে আড়লে নেয়ার বৃথা চেষ্টা করতে লাগলাম ৷ গায়ের শক্তি একেবারেই ন্বিঃশেষ হয়ে গেছে ৷ চিৎ হয়ে পড়ে রইলাম বড় একটি গাছের সামনে ৷ মনে হয় আর বাঁচার আশা নেই ৷


চোখ দুটো বড় করে পৃথিবীটাকে শেষ বারের মত দেখার চেষ্টা করতে লাগলাম ৷ জোস্না রাতে চাদেঁর আলোটা ঠিক আমার কপাল বরাবর ৷ একটু সিন্গ্ধ আলো দিয়ে হয়ত স্বান্তনা দিচ্ছে৷ চাদেঁর আলো দেখা অবস্হায় চোখের পাতা দুটি বুজে আসছে পিট পিট করে ৷ এমত অবস্হায় মমতাময়ী মা আর আদরের ছোট ভাইয়ের চেহারাটা ভেসে উঠলো মনের পর্দায় ৷


জানি না কি হবে আমার পরিবারের ৷ যাকে নিয়ে তারা সপ্ন দেখছে, আজ তার করুণ দশা ৷ মনে হয় আর মায়ের কোলে ফেরা হবে না ৷ এমনকি মরার পরে লাশটাও দেখবে না স্নেহময়ী মা ৷ বনের হিংস্র জানোয়ার গুলো খুবলে খুবলে ছিড়ে খাবে ৷ আহঃ ! আমার মত খেটে খাওয়া, সহজ সরল মানুষের সাথে
এমন হবে ভাবতেই পারিনি ৷ এমনকি আমার প্রিয় মাও না ৷ এমন জানলে কি আর মরার শহরে মরতে আসতে দিতো নাকি ?


হঠাৎ একটি আবছা কালো ছায়া আমার উপরে এসে পড়লো, এটা যে তাদেরই একজন হবে বুঝতে বাকি রইলো না ৷ প্রায় নিভে আসা চোখটা ঘুরিয়ে তাকে দেখার চেষ্টা করলাম ৷ ইশ,,,,,যদি মরার আগে শালাকে দুটো গালি দিতে পারতাম তাহলে মনটা একটু শান্তি পেত ৷

কিন্তু একি ! এ তো দেখছি একটা বুড়ো লোক ৷ মাথায় জোটলা চুল ৷ হাতে একটা সাপের মত লাঠি ৷ আরে বাবা ! এ তো দেখছি লেংটা ৷ না,,না,,মনে হয় একটা ছোট্ট কাপড় পড়া আছে ৷ ঠিক লেংগুটির মত ৷

এমন কিংভুতকিমাকার লোক আবার কোথথেকে আসলো ৷ ভয় পেয়ে গেলাম প্রথমে ৷ কিন্তু পরক্ষনই ভাবলাম, ধ্যাত ! এখন কি আর ভয় পাবার সময় নাকি ? আমি তো একটু পর মরেই যাবো ৷ ভয় পাওয়ার কি আছে ? কিন্তু এ লোকটা এখানে কি করছে ?

কি রে,,,,,,, আরো কয়েকদিন বিচরণ করতে চাস নাকি এই ভব দেশে ? কিংভুতকিমার লোকটি করকশ শব্দ করে জিজ্ঞস করলো৷

যাহ শালা,,,,এই তো দেখছি আমাকে বাঁচানোর কথা বলছে ৷ তার কথা শুনে আশা জেগে উঠলো আহত মনে ৷ বিড় বিড়় করে তার কাছে বাচাঁর আকুতি জানালাম ৷ যদিও আমি নিজেই শুনতে পাইনি কি বলেছি তাকে ৷ চোখটা প্রায় বুজে আসছে ৷

কি,,রে,,,মুরগীর ঝোল দিয়ে ভাত খাবি ? এই বলে ফোকলা দাত বের করে হাসতে লাগলো ৷

আমার সময় প্রায় ঘনিয়ে এসেছে ৷ তার ফোকলা দাতের হাসি দেখার সুযোগ আর হলো না ৷ কানের কর্ণ কুহুরে অট্ট হাসির আওয়াজটি বেজেঁ উঠল কয়েকবার ৷ ততক্ষণে আমার দু চোখ বুজেঁ গেছে অস্তমিত সূর্যের ন্যায় ৷


প্রথম অধ্যায় সমাপ্ত



জীবনের নতুন বাঁকে, আসবে নতুন সাঁজ ৷

শুরু হবে নুতুন খেলা,থাকবে নারে লাঁজ ৷

তুলো ধনা হবে এবার,ছাড়টা পাবে কে ?

মা কেও যে আনতে হবে, নয়া কৌশলে ৷

,,,,,,,,,,,,************,,,,,,,,,**********,,,,,,,,,,,,
 
Top