.......পর্ব............................১১.............
তারপর পর কেটে গেলো কয়েকদিন ৷ মাস শেষ হতেই মাইনে পেলাম ৷ মাত্র সাত হাজার টাকা ৷ অনেক পরিশ্রমের টাকা গুলো শেষ হয়ে যাবে রুম ভাড়া আর খাবারের টাকা দিয়েই ৷ বাড়িতে কি পাঠাবো সেটাই ভাবছি ৷
পিছন থেকে জামাল কাকা বললেন : যদি আমার বাসায় এসে থাকতি তাহলে পুরো টাকাটা তোর মায়ের কাছে পাঠাতে পারতিস ৷ তোর কাকী কতবার বলেছে যেন তোকে বুঝিয়ে নিয়ে যাই ৷ কিন্তু তুই তো কথাই শুনছিস না ৷
কাকা আপনার বাসায় গিয়ে কিভাবে আমি থাকি বলেন ৷ নিজের বিবেকই বাধা দিচ্ছে ৷ তাছাড়া এভাবে আপনার বাসায় গিয়ে থাকাটা কি ঠিক হবে ৷
কেন রে ? তুই কি আমাকে পর মনে করিস নাকি ? এ কথাটা বলার পরই কাকার চেহারাটা মলিন হয়ে গেলো ৷ এই লোকটা তো পুরোই নাছোরবান্দা ৷ কেন যে আমাকে তাদের বাসায় চাইছে বুঝতেই পারছি না ৷
আরে কাকা আপনি তো দেখছি অন্য কিছু মনে করছেন ৷ আমি কি বলেছি যে আপনি পর ৷ আমাকে একটু সময় দেন আমি আরেকটু ভেবে দেখি ৷
ঠিক আছে ৷ এটা বলে জামাল কাকা চলে গেলেন ৷
আজ ছুটি 6.30 টা বাজেই হয়েগেছে ৷ যেদিন মাইনে দেওয়া হয় সেদিন একটু তাড়াতাড়িই ছুটি হয়ে যায় ৷ ছুটি পেয়ে মানিক কারখানা থেকে সোজা নাদিম ভাইয়ের কাছে চলে এসেছে ৷
নাদিম তার বিভিন্ন কলিগ থেকে কিছু কিছু করে টাকা জমিয়েছে ৷ মানিক কিছুদিন পর বাড়ি যাবে, তাই তার হাতে ১০-১৫ হাজারের মত টাকা তুলে দিবে ৷ যাতে করে কিছুটা হলেও ঋন আদায় করতে পারে মমতা কাকী ৷
আমি আটটায় এসে নদিম ভাইয়ের কাছে উপস্হিত ৷ রাতের খাওয়া দাওয়া সেখানেই সারলাম ৷ খোশ গল্প হলো অনেক ৷ শুনলাম তুই নাকি কয়েকদিন পর বাড়িতে যাবি ?
আমি মাথা নেড়ে বললাম : হুম,,,,,,,,৷
নাদিম বললো : তা কবে যাবি ভেবেছিস ?
আমি বললাম : এই তো কয়েকদিনের মধ্যেই ৷
নাদিম বললো : এই নে, এখানে ১৫ হাজারের মত আছে ৷ তোর মায়ের কাছে দিস ৷
আমি বললাম : এতো টাকা ?(কারণ নাদিম ভাইয়া বেতন মাত্র আট থেকে নয় হাজার হবে ৷ সেখানে নিজের জন্য ও বাড়িতে দেওয়ার পরে এতো টাকা থাকার কথা নয় ৷
নাদিম বললো : ও নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না ৷ আগে ঋণটা দেওয়ার চেষ্টা কর ৷ যারা পাওনাধার এরা কিন্তু ভালো লোক নয় ৷ এটা মাথায় রাখিস ৷
আমি বললাম : হুম ভাইয়া ৷
নাদিম বললো : তাছাড়া তোদের বাড়িটা ঠিক করতে হবে না ?
কি করবো ভাইয়া ! আমার বেতনের টাকা তো ভাড়া আর খাবারেই চলে যায় অর্ধেক ৷
পার্ট টাইম কিছু করতে পারিস কিনা দেখ ? নাদিম বললো ৷
কি করবো বুঝতে পারছি না ৷ এখানে অনেক কষ্ট ৷ যদি অন্য কাজ হতো ভালো হতো ৷
একটু সবুর কর! একটা ব্যবস্হা করবো আমি ৷ তুই চিন্তা করিস না ৷ নাদিম বললো ৷
ঠিক আছে ভাইয়া ৷ তাহলে আমি এখন চলে যাই ৷
কোথায় যাবি এতো রাতে ! আজ এখানেই থেকে যা ৷ কাল সকালে চলে যাস ৷ নাদিম বললো ৷
কোন অসুবিধা নেই ৷ যেতে পারবো ৷ তাছাড়া রুমের কাউকে বলে আসিনি ৷ সকালে কারখানায় যেতে হবে ৷ এখান থেকে যাওয়াটা খুবই মুশকিল ৷
নাদিমও জানে এখান থেকে দত্তপাড়া বেশ দূরে ৷ তাছাড়া তার সাথে থাকার মত তেমন জায়গাও নেই ৷ এটা মানিকও জানে ৷ এছাড়া সকালে উঠে এখান থেকে কারখানায় যাওয়াটা অনেক কষ্ট ৷ তাই সে বেশী একটা জোর খাটালো না৷
তোর ইচ্ছে ৷ তবে এখানে থাকলে ভালো হতো ৷ নাদিম বললো
যদি কাউকে বলে আসতাম তাহলে হয়ত থেকেই যেতাম ৷ তুমি আর না করো না ৷
ঠিক আছে যা ৷ তবে সাবধানে ৷ আর টাকাগুলো ঠিকমত রাখিস ৷
আমি টাকাগুলো প্যান্টের ছোট্ট পকেটে ঢুকিয়ে কিছুক্ষনের মধ্যেই রাস্তায় বেড়িয়ে পড়লাম ৷
রাত সাড়ে নয়টা ৷ এলাকার গলি থেকে রিকশা নিয়ে হাইওয়ে চলে আসলাম ৷ হাইওয়ে এসে তো রিতিমত অবাক ৷ কোন বাস নেই ৷ যা আছে সব পিক আপ, ভ্যান এবং মালবাহী ট্রাক তাও নিহায়ত খুবই কম ৷
রিকশাওয়ালার ভাড়া চুকিয়ে, হাইওয়ে রাস্তা ওপারে এসে, কিছুটা সময় দাড়িয়ে রইলাম বাসের অপেক্ষায় ৷ কিন্তু আধ ঘন্টা পার হয়েগেছে বাস আসার নামই নেই ৷ আশে পাশে দু একটা রিকশা থাকলেও চালক শূন্য ৷ শহরে এমন অবস্হা হয় এই প্রথম দেখলাম আমি ৷
হঠাৎ এক রিকশাওয়ালা সামনে এসে হাজীর ৷
কি ভাই দাড়ায়া আছেন ? যাইবেন নি ?
আচ্ছা ভাই বলেনতো ! আজকে বাস কি আসবেনা ?
ভাই আমি দুই দিন পর রিকশা নিয়া বাইর হয়ছি ৷ কেমনে কমু ৷ তয় কিছু একটা তো ঘটছে ৷ নাইলে কি আর বাস বন্ধ থাকতো ৷ আপনি কই যাইবেন ? আমারে কন নামাইয়া দিয়া আসুমনে ৷
এখান থেকে দত্ত পাড়ায় যেতে দেড় ঘন্টার মত লাগে ৷ রিকশা করে গেলে হয়তো সময়ও বেশী লাগবে, ভাড়াও বেশী লাগবে ৷ কি করা যায় ভাবতে লাগলাম ৷ একবার ভাবলাম ভইয়ার কাছে চলে যাই ৷ আমার ভাবলাম রিকশা নিয়ে চলে যাব , নাকি আরেকটু অপেক্ষা করবো ৷
ভাই কই যাইবেন আপনে ? রিকশাওয়ালা বললো ৷
দত্ত পাড়ায় যাবেন আপনি ৷
কি কন ভাই রিকশা করে দত্ত পাড়ায় তাও আবার রাইতের বেলা ৷ না ভাই যামুনা ৷ এটা বলে রিকশাওয়ালা চলে গেল ৷
আরো দশ মিনিট দাড়িয়ে বুঝতে পারলাম আজ আর যাওয়া হবে না ৷ তার চেয়ে ভালো হবে ভাইয়ার কাছে চলে যাই ৷ রাত সাড়ে দশটা বেজে গেছে ৷ এই ভেবে রাস্তার ওপারে যাব তখন হঠাৎ এক বাইক এসে আমার সামনে জোরে ব্রেক করলো ৷ আমি হকচকিয়ে কিছুটা পিছনে চলে আসলাম ৷
লোকটা বাইক থামিয়ে হেলমেটটা খুলতে খুলতে বললো :
কি ভাই ? কেমন আছো ?
আমি তাকে ভালো করে দেখতে লাগলাম ৷ শার্ট প্যান্ট পরা লম্বা হ্যাংলা পাতলা গড়নে 22-23 বছরে একটি ছেলে ৷ পিছনে একটি ব্যাগ আছে ৷
জ্বী .....ভা....ভালো ৷ কে আপনি ? আপনাকে তো চিনলাম না ৷ ভুরু কুচকে বললাম ৷
জ্বী.. আমার নাম জয়ন্ত ৷ সবাই জয় বলে ডাকে ৷ দত্ত পাড়ায় তোমাকে দেখেছি কয়েক বার ৷ সম্ভবত সেখানে থাকো তুমি ৷ মুখটা চেনা,বাকি নামটা জানা নাই ৷
জ্বি......আমার নাম মানিক ! কিন্তু আমি তো আপনাকে দেখেছি বলে মনে হয় না ৷
এত্তো মানুষের মধ্যে কে কার খবর রাখে ভাই ৷ জাস্ট রাস্তায় কয়েকদিন দেখেছি কয়েকটা ছেলের সাথে ৷ সম্ভবত কাজে যাচ্ছিলে ৷
ওওও...আচ্ছা .... ঠিক ধরেছেন ৷
তা কি কাজ করো তুমি ?
একটা করখানায় কাজ করি ৷
হুম...ভালো ৷ তো এতো রাতে এখানে কি করছো ?
ভাইয়ার সাথে দেখা করতে এসেছিলাম ?
ওওও.......তোমার ভাই থাকে এখানে ?
হুম.....
তো এখন বাসের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছো ৷
হুম.......
ঘন্টা দেড়েক আগে মিনা বাজারের সামনে বাস এক্সিডেন হয়েছে ৷ তাই আজকে বাস পাবে না ৷ যদি যেতে চাও তো চল নামিয়ে দিয়ে আসি ৷
ধন্যবাদ ভাই ৷ কাল সকালেই চলে যাবো ৷ আপনি চলে যান ৷
আরে ভাই আসো ৷ নামিয়ে দিবো তোমাকে ৷
আমার সাথে অনেক গুলো টাকা ৷ যদি আবার ছিনতাই কারী হয় ৷ কিন্তু দেখে তো ভালো মনে হচ্ছে ৷ তাছাড়া সে জানবে কি করে যে,আমার কাছে এতগুলো টাকাও আছে ৷
আরে ভয় পেও না ৷ তুমি যেটা ভাবছো আমি সেটা নই ৷ এই যে দেখো আমার আদার কার্ড ৷ আর এইযে আমার লাইসেন্স, আসো আসো !
অতপর লোকটার পিড়িপিড়ি দেখে বাইকে উঠে পড়লাম ৷ তুমি আমার নাম ধরে অথবা তুমি বলে সম্বোধন করে ডাকলে আমি খুশি হবো ৷ জয় হেসে বললো
ঠিক আছে ! আমি সরলতা নিয়ে বললাম ৷
আমার ব্যাগটা তোমার কাছে রাখলে কোন সমস্যা হবে ?
না ? ... কোন সমস্যা নেই ৷ এই বলে ব্যাগটা তার কাছ থেকে নিয়ে আমার কাধে ঝুলিয়ে নিলাম ৷ অর একটু আস্তে চালিয়ো ৷ কখনো বাইকে উঠিনি তো ৷
কি বলছো তুমি !
হুম....
তাহলে তুমি এখানের স্হানীয় নও ৷
না.. আমি গ্রামের ছেলে ৷
তো কি হয়েছে ৷ আজকাল গ্রামের ছেলেরাও কোনো দিক থেকে পিছিয়ে নেই ৷ এই শহরে বাচঁতে হলে তোমাকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে হবে ৷ মোবাইল,কম্পিউটার, গাড়ি, বাইক সব কিছুতে পারদর্শিতা থাকতে হবে, না হলে তুমি পিছনে পড়ে যাবে ৷
আমি শুধু মাথাটা নাড়িয়ে হ্যা সূচক জবাব দিলাম ৷ আর ভাবতে লাগলাম, যেখানে দু মুঠো খাবার যোগাতেই হিমশিম খাচ্ছি সেখানে আবার পিছনে পড়ার কি আছে ? টাকার অভাবে পড়া লেখাটা পর্যন্ত করতে পারিনি, যদিও পড়ার ইচ্ছা আমার ছিলো না তেমন একটা ৷
কি ভাবছো মানিক ? জয় জিজ্ঞেস করলো ৷
আমি বললাম : আমাদের মত নিম্নশ্রেণীর লোকেরা এগুলো শিখবেই বা কেমন করে ৷ একে তো নূন আনতে পানতা ফুরায় ৷ তার উপর আবার অজপাড়ার মত গ্রামে থেকে ৷ যেখানে পড়া লেখাটা করাই কঠিন ৷
তোমরা কি মানুষ না ? তোমাদের কি অধিকার নেই ? জয় বললো ৷
হ্যা,,,,,তা ঠিক আছে ! তাই বলে সবার পক্ষে সব কিছু করা কি আর সম্ভব ?
মানুষ কিন্তু সব কিছু শিখে জন্ম নেয় না ৷ বরং সময়ের তাগিদে সব কিছু শিখে নেয় ৷ তাছাড়া ধনী গরিবের বিষয়টা একটু ভিন্ন হলেও, তোমাকে মনে রাখতে যে, যারাই ধনী হয়েছে তারাও কিন্তু দরিদ্য পরিবার থেকে উঠে এসেছে ৷ জয় বললো ৷
আমি তার এই কথাকে অস্বীকার করতে পারলাম না ৷ বাস্তবেই আমার মত অধিকাংশ পরিবার এক সময় নিম্নশ্রণীর ছিলো, কিন্তু তারা আজ নিজেদের চেষ্টা সাধনায় ধনী পরিবারে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে ৷
তোমার কথা ঠিক আছে জয় ! কিন্তু তোমার এটাও জানা দরকার যে,আমরা কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া পাইনি ৷ আমাদের গ্রামটা এখনো অজপাড়া রয়ে গেছে ৷
কি বলছো মানিক ? অজপাড়া বলতে কি এখনো কোন গ্রাম আছে নাকি ?
বহুত আছে ৷ তারপর আমার সংক্ষেপে পরিচয় তুলে ধরলাম৷ আমার কষ্ট করে টাকা কামানোর কথা শুনে জয় দুংখ পেলো ৷ সেও তার পরিচয় বললো,মা বাবা আর একটি বড় বোন আছে তার ৷ সে ভার্সিটিতে 3rd ইয়ারের ছাত্রী ৷ পাশা পাশি একটা জব করে ৷
আমাদের মাঝে দূরীভাবটা চলে গেলো পরিচয়ের মাধ্যমে ৷ জয়কে ভালো ঘরে ছেলে মনে হলো ৷ আর এর মাঝেই বাইকটা u টার্ন দিয়ে বাই রোডে ঢুকতে লাগলো ৷
কি করছো জয় ৷ এখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছো ?
ভয় পেওনা ৷ আমি কোন হাইজাকার নয় ৷ এই রাস্তায় একটু জঙ্গল হলেও তাড়াতাড়ি যেতে পারবো ৷ এটা বলে মুচকি হাসতে লাগলো ৷
আমি আর কিছু বললাম না ৷ যেহেতু তাকে বিশ্বস্ত মনে হয়েছে ৷ কিন্তুু এরপরও মনে আশংকার দানা গুলো শংকা বাধতে লাগলো ৷ উল্টা পাল্টা চিন্ত আসতে লাগলো মাথায় ৷
ঠিক ঐ সময় বাইকটা কড় কড় করে জোরে ব্রেক মেরে দাড়িয়ে গেলো ৷ আমি নিজেকে কোনরকম কন্ট্রোল করলাম জয়ের পিছনের জামা আকড়ে ধরে ৷
কি হল জয় ? এটা বলে সামনে তাকালাম, একটা গাড়ি মাঝপথে দাড়ানো ৷ হঠাৎ পিছন থেকে আরেকটা গাড়ি আমাদের বাইকের পিছনে এসে দাড়িয়ে গেল মুর্হুতের মধ্যে ৷
কিছু বোঝার আগে একটা লোক চিৎকার দিয়ে বললো : আমি কি তোকে বলিনি যে, তোকে আমি ছাড়বোনা ৷ দেখলি তো ! ভালই ভালই ঐ ভিডিও গুলো দিয়ে দে ? তা না হলে বেচেঁ ফিরে যেতে পারবি না ৷
কি হচ্ছে জয় ৷ কিসের কথা বলছে ? এ আবার কোন বিপদে এনে ফেললে তুমি ?
জয় সামনে পিছনে দেখে আমাকে ইশারা দিয়ে বাইক থেকে নামতে বললো ৷
কি হচ্ছে এসব ? জয় ?
যদি বাচঁতে চাও তো আমার সাথে দৌড়াও ৷ এরা এই শহরে ডন ৷ এদের খপ্পরে যে পড়বে সেই খতম ৷
কি করবো ৷ ডন নাম শুনেই অবস্হা খারাপ ৷ তার কথা মত বাইক থেকে আস্তে করে নেমে পড়লাম ৷
কিরে মাদারচোদ ! কথা কি তোর কানে যায়নি ? শালা পালাবার চেষ্টা করবি না ৷ তাদের একজন গাড়ি থেকে নেমে বললো ৷
তোরা কি মনে করিস আমি তোদের ধমকিই তেই ভয় পেয়ে যাবো ৷ আমি যখন বলেছি দিবো না, তখন কেউ তা ছিনিয়ে নিতে পারবেনা ৷
এই শালার সাথে কিসের প্যাচাল মারছিস তুই ? এই দুটোকেই তুলে নিয়ে আয় ৷ তারপর দেখ কিভাবে সেগুলো আদায় করি ৷ তাদের অন্য একজন বললো ৷
আমার তো ভয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাবার অবস্হা ৷ পা দুটি থর থর করে কাপতে লাগলো ৷
মানিক ! ভয় পেও না ৷ রেডি হও আমরা ডান দিক দিয়ে দৌড়ে জঙ্গলে ঢুকে যাবো ৷ জয় আস্তে করে বললো ৷
এতোক্ষনে তাদের অনেকেই সামনে এবং পিছনের গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে এলো ৷ তারা আমাদেরকে ঘিরে ফেলছে, তখনই জয় আমার হাত ধরে টান দিয়ে তার পিছনে দৌড়াতে বললো ৷
কি আর করা ৷ জয়ের পিছনে দিলাম ভোঁ দৌড় ৷ ছোট্ট বেলার দৌড় প্রতিযোগিতার কাজটা ,কাজে দিয়েছে এখন ৷ একে তো দৌড়ে এক্সপার্ট তার উপর আবার জীবনের মায়ায়, জঙ্গলের ভিতর পাগলের মত দৌড়াতে লাগলাম ৷ গুন্ডারাও যেন হৈ হৈ রৈ রৈ করে আমাদের পিছনে দৌড়াতে লাগলো ৷