বাথরুমটা অন্যরকম। বড়ো। পাঁচটা কমোড পাতা। আর ঊল্টোদিকে পাঁচটা শাওয়ার। আমরা তিনজন ল্যাংটো হয়েই ফ্রেশ হলাম। বাথরুম থেকে বেরিয়েছি। সামনে আরতি দাঁড়িয়ে।
আরতি: কই রানু, মিনু, সোমা একসাথে দাঁড়াও। একই আমাদের যে মেয়েদের নামে ডাকছে। কি আর করা যাবে।
পাশে দেখলাম একটা কাগজ আটকানো দেওয়ালে। লেখা।
সোম, বৃহস্পতি: ভরতনাট্যম
মঙ্গল, শুক্র: কত্থক
বুধ, শনি: ওড়িশি
কি ব্যাপার।
আরতি দুটো চামড়া বাঁধানো নাচের নুপুর মিনুকে দিল।
আরতি: রানু, তোমার আজ ঘরে। সোমা তুমি খাবার দেবে।
আমি এদিক ওদিক তাকাচ্ছি।
রানু: দাঁড়াও সব বুঝতে পারবে।
কি জানি: বড় জামাই মৃনালের নাম মিনু। রনজয়ের নাম রানু। আমি সোমেন, আমার নাম সোমা। আমরা তিনজনেই ল্যাংটো। খালি মৃনালদার পায়ে নুপুর। একটু পরেই একটা হালকা ঘন্টার আওয়াজ।
আরতি: রানু চলো।
রনজয় চলল। পাশের ঘরটা বিরাট। আমি দেখতে পেলাম। সাইডে একটা ফরাস পাতা। দু তিনটে তাকিয়া। একটাতে ভর দিয়ে বেনারসী শাড়ী পরে সুমিত্রা সেন আধশোয়া। ঘরটা অদ্ভুত ভাবে সাজানো। দেখলাম সামনে গিয়ে ল্যাংটো রনজয় সেলাম করে দাঁড়ালো। সুমিত্রা সেন হাসলেন। রনজয় চুপচাপ গিয়ে ফরাসে বসে সুমিত্রা সেনের পা টিপতে লাগল।
তারপর হালকা মিউজিক বেজে উঠল। দেখলাম মৃনাল আস্তে আস্তে সুমিত্রা সেনের সামনে দাঁড়ালো। আবার সেলাম।. সুমিত্রা সেন হেসে ইশারা করলেন। মৃনালদা ভরতনাট্যম শুরু করল।
আরতি: সোমা
আমি: হ্যাঁ।
আরতি: তোমাকে বললে, তুমি খাবার নিয়ে গিয়ে ম্যাডামের সামনে রাখবে। ভালো করে সব দেখো। কাল কিন্তু রানুর কাজটা তোমাকে করতে হবে। পরশু তোমার নাচ।
অবাক হয়ে গেলাম। সূমিত্রা সেন কি তিন জামাই কে নিজের বাঁধা বাঈজি বানিয়ে দিলো। কি কেলেঙ্কারি।