রাণীমার সঙ্গমসাথী ও মায়ার প্রথম সহবাস
১৭. তীব্র গোঙানির শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো মায়ার। বিছানা ছেড়ে উঠবে কি না ভাবছে। ও কি স্বপ্ন দেখছিলো? নাহ, এখন আবারও গোঙানির আওয়াজ, তবে চাপা। আর কেমন যেন চুক চুক শব্দ।
বিছানা থেকে নেমে জুতোয় পা গলালো। শব্দের উৎস লক্ষ্য করে হেঁটে গেলো মায়া। একটা ঘরের ভেতর থেকে আসছে। ঘরটা ওর মায়ের। দরজা ভেজানো। ফাঁক দিয়ে চোখ রাখলো ও। বিছানায় দু’জন শুয়ে আছে। একজন ওর মা, আরেকজন কমবয়সী ছেলে। দু’জনেই নগ্ন।
মায়ার মা অত্যন্ত সুন্দরী বললেও কম বলা হবে। ভয়ংকর সৌন্দর্য্য তার শরীরের পরতে পরতে। এবং লোকে বলে তার প্রায় সবটাই মায়া পেয়েছে। ওর মায়ের দেহসৌষ্ঠবে মনমুগ্ধ যৌনকাতর লোকের অভাব ছিলো না। এমন কি ওর আপন পিতামহ, মায়ার দাদাও ওর মায়ের ঘরে যাতায়াত করতো! তবে যে কেউ তাঁর সাথে শোবে, তা অসম্ভব। মায়া যতদূর জানে, ওর বাবা আর দাদা বাদে কেউ তো...
এই ছেলেটা কিভাবে মায়ের সাথে শুয়েছে, নগ্ন হয়ে। ওরা কি, ওই যে বলে, সহবাস করছে? ছেলেটার মুখ চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে মা। ওর পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করছে। ছেলেটার হাত ওর মায়ের কোমরে। নিশ্চল বসে নেই সেও। আদর করছে দু’জনে একে অপরকে। গুঙিয়ে উঠছে আনন্দে মাঝে মাঝে।
একটু পর মায়ার মাতারাণী তার একটা উরু একটু উঁচু করলো। কাত হয়ে শুয়ে ছিলো তারা। মায়া দেখলো ছেলেটার পুরুষাঙ্গ এতক্ষণ ওর মায়ের দুই উরুর মাঝে চাপা ছিলো। লম্বা আর শক্ত হয়ে রয়েছে লিঙ্গটা। ওর লিঙ্গটা এমন কেন? এমন তো কারো দেখেনি!
লিঙ্গ বন্দিদশা থেকে মুক্ত হতে ছেলেটা চিৎ হলো। আরে, এ তো সলীল! মায়াদের ছোটবেলার খেলার সাথী! মায়ার মা পরম আদরে ছেলেটার পেটে হাত বুলালো। তারপর ছেলেটার অন্ডকোষে। মৃদু মালিশে কেঁপে কেঁপে উঠলো ছেলেটা। তারপর ওর শক্ত লিঙ্গ হাতের মুঠোয় নিয়ে হাত উপর নিচ করতে লাগলো মায়ার মা। মায়া আঁতকে উঠলো। কি করছে তারা!
হাতের গতি বাড়তে লাগলো। এক সময় জোরে গুঙিয়ে উঠলো সলীল। ওর লিঙ্গ দিয়ে দ্রুতগতিতে সাদাটে তরল ছিটকে ছিটকে বেরোল। মায়ার মায়ের হাতে পড়লো অনেকখানি। ওই মাখানো হাতেই লিঙ্গটাকে আদর করতে করতে সলীলের মুখে চুমু খেলো মায়ার মা। নগ্ন স্তন ঘষছে ওর মা সলীলের বুকে।
যৌনকাতর দু’জনে এতক্ষণ খেয়াল করেনি মায়াকে। এতক্ষণে যেন সংবিৎ ফিরলো ওদের। মায়া ঘরের ভেতরে ঢুকে দাঁড়িয়েছে কখন নিজেও খেয়াল করেনি। ওদের চোখ তার উপর পরতে আর্তনাদ করে উঠলো!
ঘুম ভেঙে উঠে বসলো মায়া। সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে। ব্লাউজটা ভিজে সেঁটে রয়েছে বুকে। ও স্বপ্ন দেখছিলো! কিশোরী বয়স ছিলো ওর স্বপ্নে। ছিলো ওর মা আর সলীল। ওর মা গত হয়েছেন। আর সলীল … ওর খবর জানে না ও।
ঘর থেকে বেরিয়ে ও বারান্দায় দাঁড়ায়। পুরোনো দিনের এরকম জমিদার বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে দূরের প্রকৃতি দেখা বেশ মন শান্ত করা। একটা ছোট ছেলে বারান্দা দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছিলো। থমকে দাঁড়িয়ে ওকে দেখতে লাগলো। ওর উন্নত বুক, উন্মুক্ত কোমরে কৌতুহলী দৃষ্টি ওর। মায়া হাসলো। লজ্জা পেয়ে আবার দৌড়ে চলে গেলো। এই বয়সটাই কৌতুহলের, মায়া ভাবে। জীবনে কতবার অর্গাজম হবে ছেলেটার! প্রথম নারী শরীরের প্রতি কৌতুহল, উত্তেজনার কথা কি মনে থাকবে?
নিজের ভাবনায় নিজেরই হাসি পেলো ওর। ওর নিজের প্রথম প্রেমের কথা মনে পড়লো। সলীলইতো ছিলো ওর ভালোবাসা। ওর মায়ের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিলো সলীলের। স্নেহ করতেন ওকে মা। ছোটবেলায় বাসায় অবাধ যাতায়াত ছিলো সলীলের। মা-কে সঙ্গ দিতো, মায়ের সাথে গল্প করতে দেখতো ওকে মায়া। মাঝে মাঝে মায়ের বিছানায় সলীলকেও দেখেছে শুয়ে গল্প করতে। মায়ার মায়ের অসম্ভব দেহসৌষ্ঠব আর সৌন্দর্য কারো অজানা নয়। সলীল ওর মাকে পছন্দ করতেই পারে এজন্য। সব ছেলেরাই সুন্দর গঠনের বয়সী মহিলার সঙ্গ পছন্দ করে।
কিন্তু তাদের মাঝে যৌন সম্পর্ক থাকতে পারে এটা কখনো ভাবেনি মায়া। ওর মায়ের সাথে ওর বাবার আর ওর দাদার যৌন সম্পর্ক ছিলো, এটা জানে। সেকালে জমিদার সাহেবের অবাধ যাতায়াত ছিলো বৌমাদের ঘরে। এখন সেসব নেই। জমিদার হিসেবে ওর দাদু গ্রামের অনেক বাড়িতেই রাত কাটাতে পারতো। অনেকে দেনা পাওনা হিসেব মেটাতে না পেরে স্ত্রীকে ওর দাদুর কাছে দিতে বাধ্য হতো। আবার অনেক পরিবারকে চালাতো জমিদার। সেসব বাড়িতে যখন তখন জমিদার মশায় যেতেন। বাড়ির কোন মেয়ে, বৌ কে জমিদার খায়েশ পূরণ করতে হতো। ওর দাদু বাড়ির বৌকে নিয়ে চলে যেতেন কোন ঘরে। সেই বৌকে তখন কামবাসনা চরিতার্থ করে খুশি করতে হতো জমিদারকে। এমনও শুনেছে মায়া, সুন্দর ভারী দেহের এক মহিলা ছিলো। জমিদারের বিশেষ প্রিয়। তাদের বাসায় ঘর একটাই। রুগ্ন অক্ষম স্বামীকে ঘরের এককোণে শুইয়ে সেই ঘরেই জমিদারের সাথে মিলিত হত মহিলাটি। চেয়ে চেয়ে দেখতে হতো স্বামীকে। কপাল ভালো সেসব দিন আর নেই! - ভাবে মায়া।
সলীল আর মায়ার মেজ বোন শর্মিলার মাঝে প্রেম ছিলো। সলীল ওদের খেলার সাথী ছিলো, যখন শর্মিলার বয়স এগারো বারো তখন সলীল আর ওর মাঝে একটা কেমিস্ট্রি শুরু হয়। মায়ার তখন আট দশ বছর। আর সলীলের তের চৌদ্দ হবে। ওদেরকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখেছে মায়া বেশ কয়েকবার। একবার শর্মিলার ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখে সলীলের কোলে শর্মিলা, প্যান্টের ভেতর সলীলের পুরুষাঙ্গটা অনেক শক্ত হয়ে আছে। প্যান্টের ডান পায়ের উরুর দিকটা উঁচু হয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে সেটা। শর্মিলা চুমু খাচ্ছে সলীলকে। আর সলীল ওর কোমর জড়িয়ে আদর করে যাচ্ছে।
ছোটবেলা থেকে দেখতে দেখতে সলীলের আদর পাওয়ার নেশা মায়াকেও পেয়ে বসে। সলীল ওকে আদর করে গালে চুমু দিতো। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সলীলকে নিয়ে কত যে স্বপ্ন দেখতো মায়া! শর্মিলার চেয়েও ওকে বেশি আদর করবে সলীল একদিন - ভাবতো এমন। ওর শরীরে আদর করবে হাত বুলিয়ে। শর্মিলার নিতম্বে যেভাবে টিপে ধরে সলীল, ওকে ধরবে ওভাবে একদিন। ওর শরীর এখনও শর্মিলার মত বড় হয়নি তাই হয়তো সলীল ওকে এখনও পছন্দ করে না, কিন্তু একদিন করবে। নিজের বুক বারবার দেখতো বড় হলো কি না!
শর্মিলার সাথে সলীলের সম্পর্ক যে বিছানা পর্যন্ত গড়িয়েছে, সেটা বুঝতে পারতো মায়া। কিন্তু সলীলের ব্যাপারে ভাবনা থামাতে পারতো না। মায়ার মাও জানতেন, মায়া জানে। কিন্তু উনি ব্যাপারটা পছন্দই করতেন হয়তো। উচ্চবাচ্চ্য করেন নি। শর্মিলার আরো কিছু ছেলে বন্ধু ছিলো। কিন্তু ওদের মা সলীলকেই পছন্দ করতেন সবচেয়ে বেশি। পনের বছর বয়সে শর্মিলা গর্ভবতী হয়ে পরে। সবাই বলে সন্তানটা নাকি সলীলের। শর্মিলা কোন দাবি করেনি। গর্ভপাত করতে দেননি ওকে মা। তবে ঝামেলা এড়াতে বিদেশে পাঠিয়ে দেন বাচ্চাসহ। সেই বাচ্চাই শৈবাল।
সলীলের যাতায়াত তবুও ছিলো ওদের বাসায়। ওর মায়ের সাথেই দেখা করতো সলীল মূলত। দু’জনের গভীর একটা বন্ধুত্ব ছিলো। মায়ার সাথে মাঝে মধ্যে কথা হতো সলীলের। মায়ার ওর প্রতি টান তখনও প্রকাশ করেনি মায়া।
মায়ার বয়স যখন চৌদ্দ, তখন একদিনের কথা। সলীল এসেছে বাসায়। এই বারান্দায় আজ যেখানে মায়া দাঁড়িয়ে, এখানে টেবিলে বসে ও মায়ার মায়ের সাথে চা খাচ্ছিলো। মায়া দূর থেকে ওকে দেখে তখন, তারপর চলে যায় ছাদে। বিশাল ছাদ। ছাউনি আছে জিনিস পত্র রাখার। কেউ আসেই না বলা যায়। মায়া একটা বেঞ্চে এসে বসে। মন অনেক খারাপ ওর। সলীল এত কাছে, কিন্তু আসলে কত দূরে। কাঁদতে শুরু করে ও।
বৃষ্টি শুরু হলো হঠাৎ। অঝোরে ঝড়ছে, কিন্তু মায়া ওঠে না। বসেই আছে, ভিজছে। চোখের পানি, বৃষ্টির পানি একাকার। মায়াকে ডাকতেই কি না, সলীল উঠেছে কখন যেন ছাদে। হয়তো ওর মা পাঠিয়েছিলো বৃষ্টি হচ্ছে বলে মায়া ডেকে নামিয়ে আনতে। কিন্তু সলীল দূর থেকে ওকে ডাকেনি। ওর পাশে এসে বসে চুপ করে। মায়ার দিকে তাকিয়ে সলীল অবাক হয়। অসম্ভব সুন্দর মায়া, ওর মায়ের সৌন্দর্য্য তিন বোনের মধ্যে মায়াই পেয়েছে সবচেয়ে বেশি। শিলওয়ার-কামিজ পরেছে মায়া। ওড়না পরেনি। বৃষ্টিতে ভিজে শরীরে সেটে গেছে জামা কাপড়। ওর শক্ত স্তনবৃন্ত ভেজা জামায় দৃশ্যমান। অন্তর্বাস নেই ভেতরে। সলীল এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে।
”কেন এসেছ, সলীল ভাইয়া?”
”নিচে যেতে বললো কাকিমা”, সলীল বলে। “ঠান্ডা লাগবে তোমার, চলো যাই।”
মায়া মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকায়। বলে, “লাগুক”।
সলীল বুঝতে পারে ওর মন খারাপ। মায়ার থুতনি ধরে সলীল নিজের দিকে ঘুরিয়ে প্রশ্ন করে, “কি ব্যাপার ছুটকি?” দেখে মায়ার চোখে পানি।
”হুঁ, আমি তো ছুটকি, পিচ্চি। সর!” ওর হাত সরিয়ে দেয় মায়া।
সলীল জানে মায়া যে ওর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। কিন্তু প্রশ্রয় দেয়নি কোনদিন সেভাবে। এখন কি করবে বুঝতে পারছে না। ওর বয়স ঊনিশের কোটায়, কিন্তু অনেক মেয়ের সাথেই শুয়েছে ও। মায়ার সাথেও কি.. কিন্তু মায়ার প্রতি একটা মমতা অনুভব করে ও। কিন্তু মায়া যদি সত্যিই চায় ওকে কাছে, না করবে কি? আর মায়াকে বৃষ্টিতে ভিজে যা আবেদনময়ী লাগছে..
মায়ার কাঁধে হাত রাখে এবার সলীল। “মায়া, কি হয়েছে বলবে তো?”
মায়া হাত ঝটকা মারে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে রাখে। সলীল কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর মায়ার দু’হাত ধরে টেনে ওরদিকে ঘোরায় সলীল। চোখাচোখি হয় দু’জন। মায়ার চোখ ভেজা। কাজল গলে পড়ছে। সলীল দু’হাতে ওর চোয়াল ধরে। তারপর চুমু খায় ঠোঁটে। মায়ার মনে হয় সময় থমকে গেছে, অন্ধকার হয়ে গেছে চারপাশ। শুধু ও আর সলীল, আর কোথাও কেউ নেই।
গলা জড়িয়ে ধরে ও সলীলের। ওর ভেজা কোমরে হাত রাখে সলীল। কুঁচকানো বৃষ্টিভেজা জামা সলীলের হাতের চাপে পানি ছেড়ে দেয়। শিরশির করে ওঠে মায়া। চারপাশ ঠান্ডা বৃষ্টিতে, আর ওর দু’পায়ের মাঝে যেন আগুন ধরে গেছে। সলীল চুমু খেতে খেতেই ওর কামিজটা উঁচু করে ওর কোমর উন্মুক্ত করে হাত রাখে। চামড়ায় কোন পুরুষের হাতের এত ঘনিষ্ঠ স্পর্শ মায়ার হয়নি কখনো। মায়া সলীলের বুক খামচে ধরে। মায়ার কোমরে, পিঠে, পেটে সলীল অবারিত আদর করতে থাকে।
অনন্ত সময় পরে যেন ওদের ঠোঁট আলাদা হয়। সলীল মায়ার বাম স্তনে ডান হাত রাখে। নরম, শক্তের মাঝামাঝি একটা অবস্থা ওর স্তনে। বোঁটা উত্তেজনায় কঠিন। সলীলের হাতের ওপর হাত রাখে মায়া, শক্ত করে চেপে ধরে ওর বুকে ও সলীলের হাতকে। মায়ার ঠোঁটে আবারো ঠোঁট রাখে সলীল।
মায়াকে কোলে করে ছাউনিতে নিয়ে যায় সলীল। ওর শিলওয়ার ফিতায় হাত রেখে মায়ার দিকে একবার তাকায়। মায়ার চোখ বুজে সলীলের হাত ধরে অল্প চাপ দিয়ে ছেড়ে দেয়। নিঃশব্দ সম্মতিতে যা বোঝার বুঝে নেয় সলীল। কাপড় খুলে উন্মুক্ত করে মায়ার দেহসম্পদ। এরপর সলীলের নগ্ন শরীরের চাপ মায়ার তরুণ শরীরে, শক্ত পুরুষাঙ্গের গতি মায়ার যোনিগহবরে... ব্যাথা, আনন্দ, শিৎকার...
আজ এতদিন পর এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে মনে পড়লো মায়ার সব কথা। অনেক কথা। মায়া জানে না, আজ এত বছর পর অনেকটা সেরকম মিলনই ঘটছে শৈবাল আর ওর মেয়ে পুষ্পর সাথে। বনের মাঝে একটা পরিত্যক্ত কুটীরে কামাতুর প্রেমলীলা চলছে দু’জনের মধ্যে।