দরজা বন্ধ করে দিলাম।
মাধবী: নাত বৌ কেমন আছো?
আমি অবাক।
শ্বেতা: সুমিতা, মা কি জিজ্ঞেস করছে?
আমি: হ্যাঁ, ভাল।
শ্বেতা হাসল।
মাধবী: শ্বেতা। নাতবৌকে পোষাকগুলো পরিয়ে দেখে নে।
সর্বনাশ কি পোষাক।
শ্বেতা: হ্যাঁ সুমিতা বোসো। পোশাক তৈরী পরে দেখে নাও।
আমি কি বলব ভাবছি এমন সময় শ্বেতা দেখলাম বিভিন্ন প্যাকেট বার করছে। প্রথম প্যাকেট থেকে বেরোল একটা সালোয়ার-কামিজ। স্লিভলেস। এই মরেছে।
শ্বেতা: সুমিতা এটা পরে দেখাও তো দেখি।
আমি: মানে এই পোষাক ?
শ্বেতা: হ্যাঁ। পরে এস। আর হ্যাঁ। এই গেঞ্জি আর হাফপ্যান্ট এর অভ্যাস টা ছাড়তে হবে। বাড়ির বৌ এই পোষাক পরে না।
আমি ভাবছি এরা কি করতে চায়।
চাকরির ব্যাপার আছে কথা না বাড়িয়ে পাশের ঘর থেকে পরে এলাম।
শ্বেতা: বা বেশ মানিয়েছে।
মাধবী: হ্যাঁ আরেকটা দে।
এবার বেরোল একটা শার্ট আর লংস্কার্ট।
পর পর নাইটি, মিনি স্কার্ট, লং ফ্রক, মেখলা, মিডি বের হতে থাকল।
সেগুলো পরার পর।
মাধবী: নাত বৌ শাড়ি পরাটা শিখতে হবে কিন্তু।
আমি প্রমাদ গনলাম।
শ্বেতা পোষাক গুলো ভাঁজ করে নিল।
শ্বেতা: মা আর কিছু?
মাধবী: শুধু আর একটা জিনিস। আর্টিফিসিয়াল ব্রেস্ট কিনে নিতে হবে।
আমি অবাক।
মাধবী: নাতির সাথে বাইরে বেড়াতে যাবে যখন। তখন তো লাগবে।
শ্বেতা: যাক আজ আসি সুমিতা। থাকো। আর পরশু আশীর্বাদ। আমরা আসব।